পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিকে যেন প্রাচীর ছিল না; যে আসিয়া আপনার হইয়া থাকিতে চাহিত, সেই বসিতে - পাইত; আশ্রয়াথী হইয়া কেহই বিমখ হইত না। এখন তাঁহার কতকগলি গণের কথা বলি। তাঁহার প্রধান গণ, পরকে আপনার করা। এ বিষয়ে তাঁহার সমকক্ষ পরিষ বা স্ত্রীলোক দেখি নাই। যে সকল বালিকা এক সময়ে আমাদের গহে আশ্রয় পাইয়াছে, তাহারা পরে যেখানেই যাউক, যেখানেই থাকুক, আমার বাড়ি তাহদের বাপের বাড়ির মতো হইয়াছে। প্রসন্নময়ী সহস্র কাজের মধ্যে তাহদের সংবাদ লইয়াছেন, অর্থের দ্বারা সহায়তা করিয়াছেন ও তাহদের ভদ্রাভদ্রের প্রতি সতত দন্টি রাখিয়াছেন। মতুশয্যাতে পড়িয়াও তাহদের অনেকের নাম করিয়াছেন ও দেখিতে চাহিয়াছেন। সত্য-সত্যই পরকে আপন করা এরূপ ८2ा बाझ क्रा । দ্বিতীয় গণ, গহকাযে দক্ষতা। যাঁহারা তাঁহাকে দেখিয়াছেন, সকলেই জানেন, তিনি আলস্য কাহাকে বলে জানিতেন না। যতদিন শরীরে শক্তি ছিল, রাঁধানী রাখিতে দিতেন না; নিজ হস্তে পাক করিয়া সন্তানদিগকে খাওয়াইতে ভালোবাসিতেন। এ কথা বলিলে বোধ হয় অত্যুক্তি হয় না যে, আমার সন্তানেরা কখনো তাহাদের মাতাকে ঘামাইয়া থাকিতে দেখিয়াছে কি না সন্দেহ; অর্থাৎ তাহারা নিদ্রিত হইলে তিনি শয্যাতে যাইতেন, এবং তাহারা উঠিবার পাবেই গাত্রোখান করিয়া গহকাব্য অর্ধেক সারিয়া ফেলিতেন। সাধনাশ্রমে আসার পর প্রাতে ৮টার পাবে। রধিয়া অন্নব্যঞ্জন প্রস্তুত রাখিয়া যথাসময়ে উপাসনায় যোগ দিতেন। তৃতীয় গণ, কাজের শওখলা। তিনি অনিয়ম সহ্য করিতে পারিতেন না। রন্ধনশালায় বা ভাঁড়ার ঘরে সর্বদা একটি ঘড়ি রাখিতেন। ঘড়ির নিয়মানসারে সকল কাজ করিতেন। আমাদের বন্ধ-বান্ধব সকলে বলিতে পারিতেন, তিনি কোন ঘণ্টায় কি কাজ করিতেছেন। চতুর্থ গণ, হািম্পটচিত্ততা। তিনি যে এত পরিশ্রম করিতেন, এত দারিদ্যে বাস। করিতেন, সংসারের এত ভার বহিতেন, তাঁহার মািখ দেখিলে তাহা বঝিতে পারা যাইত না। সবােদা প্রফল্প থাকিতেন, আর গান করিতেন, বা মাখে-মখে কোনো ছড়া আব্বত্তি করতেন। গাহিয়া হাসিয়া অভিনয় করিয়া পরিবারসহ সকলকে চির-আনন্দে রাখিতেন। বন্ধগণ সর্বদা বলিতেন, এই আমাদে পরিবারের লোকে দঃখ কাহাকে <ढ् एका न् । তাঁহার স্বাভাবিক হান্টচিত্ততার দাইটি দলটান্ত দিতেছি। একবার আমাদের বড় দারিদ্র্যের অবস্থা উপস্থিত হয়। সেই সময়ে প্রসন্নময়ীর আরসীখানি ভাঙ্গিয়া যায়। তখন তাঁহার একখানি নতেন আরাসী কিনিবার পয়সা ছিল না। তিনি জলের জালাতে মািখ দেখিয়া চুল বধিতে আরম্ভ করেন। এ সকল কথা আমি জানিতাম না। একদিন আমার বন্ধ দরগামোহন দাস মহাশয়ের পত্নী ব্রহমময়ী অপরাহে তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসেন। তিনি আসিয়া দেখিলেন যে প্রসন্নময়ী জলের জালার নিকটে দাঁড়াইয়া আছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “ও কি হেমের মা, জলের জালার কাছে দাঁড়িয়ে কেন ?” প্রসন্নময়ী হাসিয়া উত্তর করিলেন, “আরসীখানা ভেঙে গেছে, তাই জলের জালাতে মািখ দেখে চুল বাঁধছি।” ব্রহমময়ী। ও মা, এমন তো কখনো শনিনি! প্রসন্নময়ী অট্টহাস্য করিয়া বলিলেন, “দেখলেন, আমি কেমন একটা নািতন Rbyć