পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মে, আমজর প্রতিও তাঁহার পত্রবৎ স্নেহ জন্মে। তিনি আমাকে তাঁহার, বাড়িতে লইয়া গিয়া তাঁহার গহিণীর সহিত আলাপ পরিচয় করাইয়া দেন। আমি অগ্রেই বলিয়াছি, পঠদ্দশাতে শহরে থাকিতে আমার সহাধ্যায়ীদের কাহারও। BDBDBBB LLB BDDD DB DDD DDDBDS BBD DBDBBD DDD BD BBBBS DDDBD কি, সে সময়ে আমাকে যেরপ কুসঙ্গের মধ্যে বাস করিতে হইত, স্মরণ করিলে এই মনে হয় যে, সেই মাসীদের স্নেহের গণে ও তাঁহাদের চরিত্রের প্রভাবেই আমি এই সকল কুসঙ্গের অনিন্ট ফল হইতে বাঁচিয়াছিলাম। যাহা হউক, আমি জগৎবাবর পত্নীকেও মাসী বলিয়া ডাকিতে লাগিলাম। আমাকে ইহারা সবামী-স্ত্রীতে যে কি ভালোবাসিতে লাগিলেন, তাহা বাক্যে বর্ণনা হয় না। শেষে এমনি দাঁড়াইল যে, আমি দই-চারিদিন দেখা না করিলে মাসী ডাকিয়া পাঠাইতেন, এবং আমাকে ‘কঠিন ছেলে’ বলিয়া তিরস্কার করিতেন, এটা-ওটা খাওয়াইতেন, ঘরকাষার কথা কত শনাইতেন, আমার নিকট কিছই গোপন রাখিতেন না। আমি আপ্যায়িত হইয়া বাসায় ফিরিতাম। " - হয়, তাঁহাদের ‘কঠিন ছেলে’ ব্রাহসমাজের কাজে ও নানা বিষয়ে মাতিয়া কোথায় গিয়া পড়িল, তাঁহারা কোথায় গিয়া পড়িলেন!! মাসীকে আর কত কাল দেখিলাম। না। এখন ভাবিয়া দেখি, মাসী যে আমাকে ‘কঠিন ছেলে’ বলিয়াছিলেন, তাহা ঠিক বলিয়াছিলেন। আমি মানষের নিকট যতটা প্রেম পাইয়াছি ততটা প্রেম দিতে পারি নাই। এ-জীবনে যে আমি সব দা নানা সংগ্রামের মধ্যে বাস করিয়াছি, তাহা বোধ হয় আমার প্রেমিক বন্ধদের প্রতি আমার সমচিত প্রেমের অভাবের একটা কারণ। নিযাতন বিদ্বেষ বিবাদ, প্রভৃতির মধ্যে পড়িয়া মন উত্তাপের মধ্যে বাস করিয়াছে, প্রেমের সশীতল বায় সেবন করিবার সময় পায় নাই। যাহা হউক, আমি এই মাসীর এত স্নেহের এইমাত্র প্রতিদান করিতাম যে, তাঁহাদের মহিমকে রোজ কাছে আনিয়া পড়া বলিয়া দিতাম। ১৮৬৭ সালের শেষ ভাগে ইহারা কলিকাতার শাঁখারীটোলাতে এক বাড়িতে গিয়া থাকিবেন বলিয়া সিথর করিলেন। তখন মাসী আমাকে সঙ্গে যাইবার জন্য ধরিয়া বসিলেন। আমি তাঁহাদের অনরোধ অগ্রাহ্য করিতে পারিলাম না। আমরা আসিয়া শাঁখারীটোলাতে বাস করিতে লাগিলাম। আমি ও মহিম বাহির বাড়িতে এক দ্বিতীয় তল গহে বাস করিতাম। সে ঘরটি বাহির বাড়িতে হইলেও ঠাকুরদালানের ছাদের উপর দিয়া অন্দরমহল হইতে সে ঘরে যখন ইচ্ছা আসা যাইত। সতরাং মাসী কাজকম হইতে একটি অবসর পাইলেই আমার ঘরে আসিয়া বসিতেন, এবং আমার ও মহিমের পড়া দেখিতেন, এবং নানা ভালো কথায় কাল কাটাইতেন । বালিকা বিধাের বেদনা। আমরা এই বাড়িতে আসার পর মাসীর এক ভ্রাতুলপত্রী, ১৫ ॥১৬ বৎসরের বালিকা, তাঁহাদের নিকট আসিয়া প্রতিস্ঠিত হইল। সে ২ ॥১ দিনের মধ্যেই আমাকে ‘দাদা” করিয়া লইল। পিতা-মাতা ঐ বালিকাটিকে শৈশবে একজন পরিণতবয়সকে বিপত্নীক ব্যক্তির. সহিত বিবাহ দিয়াছিলেন। বালিকাটি বোধ হয়। পতির নিকট বা’ পতি গহে ভালো ব্যবহার পাইত না, কারণ, শবশিরবাড়ির কথা তুলিলেই দরিদর ধারে তাহার দই চক্ষে জলধারা বহিত, এবং তােহা দেখিয়া বাল্যবিবাহের প্রতি আমার ঘণা-বাড়িয়া যাইত। আমি সাবধান হইয়া বালিকাটির নিকট তাহার শবশরিবাড়ির কথা তুলিতাম না, তাহাকে পড়াশোনায় গল্পগাছায় ভুলাইয়া । ԳՀ