পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন্ধপত্নীর মাতৃত্যু। বোধ হয় ১৮৬৯ সালের জানায়ারীর শেষভাগে পরীক্ষার ফল বাহির হইল। তখন আমরা মহালক্ষীর পীড়া লইয়া ঘোর সংগ্রামের মধ্যে আছি । DDDD DBDDD BD DBBD DDBDBDBu BBDruBDBD BBBD DBBB tBD DBBB আমি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পত্র লইয়া ডাক্তার মহেন্দুলাল সরকারের শরণাপন্ন হইলাম। তিনি আমাকে পাব হইতেই জানিতেন ও ভালোবাসিতেন। আমার ব্যাকুলতা দেখিয়া প্রতিদিন মহালক্ষমীকে দেখিতে আসিতে লাগিলেন, এবং তাঁহার সাধ্যে যত দর হয় তাহা করিতে বাকি রাখিলেন না। অবশেষে কয়েকদিনের পর মহালক্ষীর প্রাণ গেল। তখন তিনি ৮।। ৯ মাস কাল সসত্ত্বা। এইরপ অবস্থাতে মাতৃত্যু হওয়াতে প্রাণে বড়ই আঘাত লাগিল। মহালক্ষীর মা ইহার কিছ পাবে কাশী হইতে আসিয়াছিলেন। তিনি যখন আমার গলা জড়াইয়া ধরিয়া “বাবা রে, এত করেও বাঁচাতে পারলি না রে” বলিয়া চীৎকার করিয়া কাঁদিতে লাগিলেন, যোগেন বালিশে মািখ গজিয়া পড়িয়া রহিলেন, এবং ঈশান পাগলের মতো ঘর হইতে বাহির, বাহির হইতে ঘর করিতে লাগিলেন, তখন আমি আর মহালক্ষীর জন্য কাঁদিব কি ? ইহাদিগকে লইয়া ব্যস্ত হইয়া পড়িলাম। সেই ক্ষেত্রেই সংবাদ আসিল যে, আমি এল. এ. পরীক্ষায় ইউনিভাসিটির ফাস্ট গ্রেড সঙ্কলারশিপ ৩২ ইংরাজী ও সংস্কৃতে ইউনিভাসিটিতে সবোচ্চ স্থান অধিকার করাতে ডাফ সকলারশিপ ১৫, ও সংস্কৃত কলেজের প্রথম সঙ্কলারশিপ ১২১-সব সমেত ৫১ টাকা বত্তি পাইয়াছি। যাহাদিগের জন্য সংগ্রাম করিতেছিলাম জগদীশবার তাহাদিগকে সরাইয়া লইলেন ভাবিয়া আমার চক্ষে জল ধারা বহিতে লাগিল। কিন্তু তখন বঝি নাই যে তিনি অন্য এক সংগ্রামের জন্য পাব হইতেই উপায় বিধান করিলেন। সে সংগ্রাম ব্রাহমাধ্যমে দীক্ষা ও পিতৃগহ হইতে নিবাসন। তাহার বিবরণ পরে বলিব । মহালক্ষী চলিয়া গেলে, যখন তাহার মা আমার গলা জড়াইয়া কাঁদিয়া বলিলেন, “বাবা, তুমিও কি আমাদিগকে ছেড়ে যাবে ?” তখন আর তাঁহাদিগকে ছাড়িতে পারিলাম না। ভবানীপার ছাড়িয়া আসিয়া তাঁহাদের সঙ্গে আবার কয়েক মাস রহিলাম। কিন্তু ইহার কিছদিন পরেই যোগেনের বাসা ভাঙিয়া গেল, আমরা সর্বতন্ত্র সর্বতন্ত্র সস্থানে পড়িলাম, আমাদের জীবনের গতিও পথিক হইয়া দাঁড়াইল । মহালক্ষীর শোকাটা আমার বড়ই লাগিয়াছিল। মহালক্ষয়ী চলিয়া গেলে, পাঠে গরতের শ্রমের ফলস্বরূপ আমার এক প্রকার পীড়া দেখা দিল। অতিরিক্ত দর্বলতার সঙ্গে সবাঙ্গে শাদা-শ্যাদা চাকা-চাকা এক প্রকার ফোলা মাংস দেখা দিল, সেগলিতে আঘাত করিলে বেদনা অন্যভব করিতে পারিতাম না। কোনো কোনো ডাক্তার দেখিয়া বলিলেন, কুন্ঠব্যাধি হইবার উপক্রম। ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার আমাকে অতিরিক্ত শ্রমের জন্য তিরস্কার করিয়া, ছয় মাস কাল তন্মানসক হইয়া চিকিৎসা করিলেন, এবং আমাকে রোগমন্ত করিয়া তুলিলেন। উপেন্দ্রনাথ দাসের বিধবাবিবাহ দেওয়া। অতঃপর উপেন্দ্রনাথ দাসের বিধবাবিবাহের বিবরণ লিখিতেছি। এই ঘটনাটি বোধ হয় ১৮৬৮ সালের মধ্য ভাগে ঘটিয়াছিল। হাইকোটের উকীল বাবা শ্রীনাথ দাসের জ্যেষ্ঠপত্র উপেন্দ্রনাথ দাস তুখন কলিকাতায় যােবক রিফমারদের মধ্যে একজন প্রধান ব্যক্তি। তৎপবে তিনি মান্দ্রাজ হইতে ফিরিয়া আসিয়া ইন্ডিয়ান র্যাডিকাল লীগ নামে একটি সভা সম্পথাপন করিয়া তাহার সভাপতিরাপে কায করিতেছিলেন। এরােপ জনশ্রতি যে, কোনো পারিবারিক কারণে স্বীয় t'S