পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করানো সকলের মত হইয়াছিল, তাহা আমার সমরণ নাই। যত দর মনে হয়, এ পরামর্শ বিবাহের কিঞ্চিৎ পাবে স্থির হয়, এবং আমি শেষ মহত পর্যন্ত জানিতে *ाद्र नाच्ने । "ki আমি ওদিকে কন্যা আনিতে গিয়া একদল মাতালের হাতে পড়িয়া টানাটানির মধ্যে আছি। আমি যে গাড়িতে করিয়া কন্যাকে আনিতেছিলাম। সেই গাড়ি ও আর একখানি গাড়ি একটি ছোট গলির মধ্যে দাই দিক হইতে আসিয়া, পাশাপাশি পার হইতে গিয়া চাকায় চাকায় আটকাইয়া গেল। কোনোখানি বাহির হয় না। আমি গাড়ি হইতে নামিয়া চাকা টানাটানি করিতেছি, এমন সময় এক দল মাতাল আসিয়া উপস্থিত। তাহদের মধ্যে একজন আমার পরিচিত। মাতালেরা আমাকে জিজ্ঞাসা করিল, “এ কি বাবা! রাস্তা আটকেছ কেন ?" যখন কারণ নির্দেশ করিলাম, তখন সকলে কাঁধ দিয়া গাড়ি ছাড়াইয়া দিতে প্রবত্ত হইল। একবার জিজ্ঞাসা করিল, “ইজ দেয়ার এনি জেণ্টলউমেন, বাবা ?” আমি বলিলাম, “হাঁ।” তাহার পরে আর কেহ গাড়ির দাবারের কাছেও যায় না, এতই সম্পন্দ্রম দেখাইতে লাগিল। সকলে পড়িয়া BDBD D DD BB BDDDBB DS BDBD BDD DBBB DBDBD DBBD DBD অভিমখে ছটিল। এদিকে মাতালেরা চারি-পাঁচজনে পড়িয়া আমাকে ধরিল, “এত করে গাড়ি ছাড়ালাম বাবা, কিছ দিতে হবে।” তখন আমার মনে ছিল না যে, আমার পকেটে একটা টাকা আছে। আমি অনেক অনানয় বিনয় করিলাম, বিবাহ সভাতে যাইতে বলিলাম, কিছতেই রাজি নয়, আমার চাদর কাড়িয়া লইতে উদ্যত। আধ ঘণ্টা টানাটানির পর মনে হইল যে সঙ্গে একটা টাকা আছে। টাকাটা দিয়া নিম্পকৃতি পাইয়া বিবাহ সভাতে যেই গিয়া উপস্থিত, অমনি শানিলাম আমাকে সভামধ্যে উপাসনা করিতে হইবে, সকলে উৎসকে অন্তরে অপেক্ষা করিতেছে! সে কি উপাসনা করিবার অনকােল অবস্থা ? আমি শনিয়া অস্বীকৃত হইলাম। কিন্তু শোনে কে ? তৎপবে কখনো প্রকাশ্য স্থানে উপাসনা করিয়াছিলাম, এরপ সন্মরণ হয় না। যে লাজক ছিলাম, বোধ হয় করি নাই। লাজক ছিলাম, এই কথাটি পড়িয়া বন্ধদের অনেকে হয়তো মনে মনে হাসিবেন। কারণ তাঁহারা আমাকে এ সকল বিষয়ে ও অন্যান্য বিষয়ে চিরদিন বেপরোয়া ও বেহায়া দেখিয়া আসিতেছেন। কিন্তু তখন আমি উপাসনাদি বিষয়ে বাস্তবিক বড় লাজক ছিলাম। সেই মানষেকে ধরিয়া লইয়া যখন সভামধ্যে চেয়ারে বসাইয়া দিল, তখন কি হইল তাহা সকলেই অনভব করিতে পারেন। প্রথমেই গিয়া শানিলাম, গান হইতেছে “মনে কর শেষের সেদিন ভয়ঙ্কর; অন্যে বাক্য কবে, কিন্তু তুমি রবে নিরািত্তর!” যেমন উপাসনার সে ব্যক্তি ব্রহসঙ্গীতের মধ্যে রামমোহন রায়ের গানই জানিত, তাহাই গাহিতেছিল। গান শেষ হইলে আমি প্রার্থনা করিতে প্রবত্ত হইলাম। আমার প্রার্থনার মধ্যে সভাসস্থল হইতে করতালির চটপটা ধবনি উঠিতে লাগিল। এই জন্য এ বিবাহ অনঙ্ঠানকে খিচুড়ী বিবাহ’ বলিয়াছি। উপাসনার পর এক কাগজে বীরকন্যা স্বাক্ষর করিলেন। আমার যত দর সমরণ হয়, সাক্ষীদের মধ্যে শ্রদ্ধেয় বন্ধ আনন্দমোহন বস একজন ছিলেন। তখন কিন্তু তাঁহার সহিত আমার আলাপ পরিচয় হয় নাই। ৱিফমার বন্ধর কীতি । বিবাহের পর উপেনের সহিত ও তাঁহার নবপরিণীতা স্ত্রীর সাহিত আমার সম্বন্ধ আরও গাঢ় হইল। আমি সব দাই তাঁহাদিগের সংবাদ লেইতাম, ኪታ S