পাতা:আত্মচরিত (সিগনেট প্রেস) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষধাত ব্যাঘ্র যেমন আমিষ খন্ডের উপরে পড়ে, সেই ভাবে তাহার উপরে পড়িতাম। : সাধারণ ব্রাহমসমাজের গঠন কাযে যে কয়েক বৎসর ব্যাপতি ছিলাম, সে কয়েক বৎসর কায্যের ভিড়ে পড়িয়া আমার এই বিভূক্ষাকে সম্পর্শ চরিতার্থ কাঁৱতে পারিতাম না। আবার এতদিনের পরে সেই বিভূক্ষা প্রাণে জাগিয়া উঠিতেছে। কিন্তু হায়! আর সে শক্তি নাই। এখন মনে হয়, আবার যদি যৌবনের শান্তি পাই ও মতো লাইব্রেরি পাই, একবার প্রাণ ভরিয়া পড়ি। মহাষি দেবেন্দ্রনাথের আদি ব্রাহসমাজ। আমার রাহমাধ্যম ও ব্রাহামসমাজের প্রতি আকর্ষণ ১৮৬৫ সাল হইতে জন্মিলেও আমি এতদিন পর্যন্ত লতাজাবশত কিরূপে ব্রাহমসমাজ হইতে দরে দরে থাকি,তাম, তাহা অগ্রেই বলিয়াছি। যত দর মনে হয়, ১৮৬৭ সাল পর্যন্ত কেশবচন্দ্রের উন্নতিশীল দল অপেক্ষা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও আদি সমাজের দিকেই আমার অধিক আকর্ষণ ছিল। আমার যত দর সমরণ হয়, আমার জ্ঞাতি দাদা হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন (যিনি আদি সমাজের ব্রাহম ও তত্ত্ববোধিনীর সম্পাদক ছিলেন এবং আমার নিকট সব দা মহাষি দেবেন্দ্রনাথের প্রশংসা ও উন্নতিশীল ব্রাহামদলের নিন্দা করিতেন) তিনিই এই আকর্ষণের প্রধান কারণ ছিলেন। আমার মাতুল সবগীয় দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণও উন্নতিশীল দলের পক্ষে ছিলেন না, তাহাও একটা কারণ হইতে পারে। সেই কারণে উন্নতিশীলদের কথাবাত কাজকম যেন ভালো লাগিতা না। বস্তুত উন্নতিশীল দলের সঙ্গে আমি অধিক সংশ্রব রাখিতাম না। তবে পৌত্তলিকতা ও জাতিভেদ ত্যাগ করিতে দঢ়প্রতিজ্ঞ হইয়াছিলাম। কেশৰ সেনের উন্নতিশীল ব্রাহসমাজ । ১৮৬৮ সালের প্রারম্পর্ভ অবধি উন্নতিশীল ব্রাহামদলের সহিত যোগ কিঞ্চিৎ গাঢ়তার হয়। তাহা এই প্রকারে ঘটে। ঐ বৎসরের প্রারম্ভে শানিলাম, মাঘোৎসবের সময় উন্নতিশীল দল আপনাদের উপাসনা মন্দিরের ভিত্তিস্থাপন করিবেন এবং তদপেলক্ষে নগরকীত ন হইবে। এই সংবাদে আমার মাতুলমহাশয় তাঁহার কাগজে ও কথাবাতাতে ইহাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করিতে লাগিলেন, “এ নেড়ানোড়ী কান্ড কেন ?” তদিভন্ন হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন মহাশয়ও অনেক উপহাস বিদ্রপ করিতে লাগিলেন। সবোপরি, আমি শান্ত বংশের ছেলে, বৈষ্ণবদের কীতানের প্রতি পবাবধি অতিশয় অশ্রদ্ধা ছিল। এমন কি, কোনো যাত্রা গান শনিতে গিয়া যদি দেখিতাম খোল করতাল আসিল ও কীতািন আরম্ভ হইল, অনেক সময় সে সােথান পরিত্যাগ করিতাম। আমি ভাবিলাম, উন্নতিশীল দল রাস্তাতে ঢলাঢলি করিতে যাইতেছে। এই ভাবিয়া বিরক্ত চিত্তে ১১ই মাঘ সকালবেলা সে দলের দিকে না গিয়া আদি সমাজের উপাসনাতে গেলাম। উপাসনালেত আদি সমাজের সিড়ি দিয়া নামিয়া আসিতেছি, এমন সময় কয়েকজন বােব আসিতেছেন, তাঁহারা তুলেছেন।” নগরকীতনে হাস্যাস্পদ না হইয়া কৃতকাব্য হইয়াছে, এই কথাটা বড় নাতন লাগিল। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “মহাশয়, সে কি রকম ?” তখন তাঁহারা আমার 'হসেত নগর কীতানের কাগজ দিলেন। আমি সেই সিড়িতে দাঁড়াইয়া পড়িতে ब्लार्गाढा । एकाश्ICऊ उआ८छ 89