পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b७२-७१ ] ১৮৬৪ সালের অশ্বিনের বড় ଈ'>'; পিতার তেজস্বিতা ।-অধিকাংশ গৃহস্থই জমিদারবাবুদের নিষেধ শুনিল, শুধু আমার বাবা ও মা শুনিলেন না। র্তাহারা উভয়ে তেজী মানুষ, অতিশয় সত্যপরায়ণ ন্যায়পরায়ণ লোক ছিলেন । বিদ্যাসাগরের প্রিয় লোক, র্তাহারা লোকের বিরাগের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেন না। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রকৃতির অনেক দোষগুণ আমার পিতাতে ছিল। তিনি বলিলেন, “কি ! এত বড় আস্পৰ্দ্ধার কথা ? আমার ছেলে মেয়ে পড়াব কি না, তার হুকুম অন্যে দিবে ? যদি কাহারও মেয়ে স্কুলে না যায়, আমার মেয়ে যাবে ; দেখি, কে কি করে !” এই বলিয়া তিনি একমাত্র আমার ভগিনীকে লইয়া স্কুলে গেলেন ও পণ্ডিতকে বলিলেন, “কেবল আমার মেয়ে আসবে ও তুমি আসবে, স্কুল একদিনের জন্যও বন্ধ করে। না। যদি কর, তাহলে গভর্ণমেণ্টের কাছে রিপোর্ট করে গভর্ণমেণ্ট সাহায্য বন্ধ করে দেব।” বাস্তবিক কিছুদিন আমার ভগিনীদ্বয় ও পণ্ডিত মহাশয় এই তিন জনকে লইয়া স্কুল চলিল। এতদ্ব্যতীত ব্রাহ্মদের প্রতি অন্যায় ব্যবহার হওয়াতে বাবা অগ্নি-সমান জ্বলিয়া উঠিলেন, এবং ব্রাহ্মদের পক্ষ অবলম্বন করিলেন । তখন তিনি বাড়ার লোকের সমক্ষে ব্রাহ্মদের প্রশংসা করিতেন। ইহাও আমার ব্রাহ্মসমাজের দিকে আকৃষ্ট হইবার অন্যতম। কারণ । ১৮৬৪ সালের আশ্বিনের ঝড়। জালাসি গ্রামে আশ্রয় প্রগ্রহণ ॥—এখন নিজের জীবন-বিবরণ • আবার বলি। চৌধুরী মহাশয়দিগের ভবনে অবস্থানকালে ১৮৬৪ সালের আশ্বিন মাসে মহাঝড় ঘটে । সেই ঘটনা স্মৃতিতে দৃঢ়ৰূপে মুদ্রিত রহিয়াছে। সেটা পূজার ছুটির সময়, বোধ হয় পঞ্চমী কি ষষ্ঠীর দিন। অনেকে পূজার সময় কলিকাতা হইতে বাড়ী যাইতেছিল, সুতরাং পথে ঝড়ে পড়িতে হয়। আমার স্বগ্রামের একটী যুবক ও আমি দুইজনে ঝড়ের পূর্বদিন শালতি করিয়া কালীঘাট হইতে বাসগ্রামের অভিমুখে যাত্রা করি। সে দিন সন্ধ্যা হইতেই আকাশ