পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৪র্থ পরিঃ না হইতে সমগ্র বাড়ী ভূমিসাৎ হইল। চারিদিকের প্রাচীর। পর্যন্ত ধরাশায়ী হইয়া সমভূমি হইয়া গেল। .. ব্রাহ্মণবাড়ীতে আশ্রয় গ্রহণ। ব্রাহ্মণযুবকের , বীরত্ব ও মহত্ত্ব ।--তখন বাত্যার প্রকোপ দুৰ্দান্ত দৈত্যের বিক্রমের ন্যায় হইয়াছে। গ্রামের প্রায় একখানিও গৃহ দণ্ডায়মান নাই, সমুদয় সমভূমি হইয়াছে। চারিদিকে চাহিতে চাহিতে অদূরে একখানি গৃহ তখনও দণ্ডায়মান দৃষ্ট হইল। স্থির করা গেল যে, সেখানে গিয়া আশ্রয় লওয়া যাউক। গিয়া দেখি সেই গ্রামের স্ত্রীলোক বালকবালিকাতে সে ঘর পরিপূর্ণ। ঘরখানি নূতন ছিল বলিয়া তখনও দণ্ডায়মান আছে। সেই গৃহস্বামী অতি বৃদ্ধ। তাহার যুবক পুত্র বৃদ্ধ পিতামাতাকে তাড়াতাড়ি খাওয়াইয়া, ঘরের ভিতরে পূরিয়া, বীরের ন্যায় কোমর বাধিয়াছে, এবং সেই ঝড়ে ছুটাছুটি করিয়া চারিদিকের স্ত্রীলোক বালকবালিকা সংগ্রহ করিয়া সেই ঘরে পূরিতেছে। আমরা ঘরের নিকটে পৌঁছিয়া দেখি স্ত্রীলোকে ঘর পরিপূর্ণ। আমাদের সঙ্গের ভদ্রলোকটি ঠেলিয়া ঘরে ঢুকিয়া পড়িলেন ; আমাদের দুই বন্ধুর কিরূপ সংকোচ বোধ হইতে লাগিল। আমরা দ্বার হইতে ফিরিয়া পার্শ্বের দাবাতে গিয়া দাড়াইলাম। তৎক্ষণাৎ সে দাবার চালটী আমাদের মাথার উপরে পড়িয়া গেল। তখন আমরা শ বিলাম যে, এরূপে ঘরচাপা পড়িয়া মরা অপেক্ষা বাহিরের উঠানে বসিয়া ঝড় খাওয়া ভাল। এই ভাবিয়া বাহিরে যাইতেছি, এমন সময় গৃহের ভিতর হইতে এক বৃদ্ধ রমণীর কণ্ঠস্বর শোনা গেল, “বাবা ! তোমরা কোথায় যাও, এত লোকের যদি জায়গা হয়ে থাকে, তোমাদের দুজনেরও হবে।” তখন আমরা বাধ্য হইয়া গৃহের ভিতরে প্রবেশ করিলাম। প্রবেশ করিয়া স্ত্রীলোক বালকবালিকাব ক্রন্দনের ধ্বনি শুনিয়া মনে হইতে লাগিল, সেখানে না। ঢুকিলেই ভাল ছিল। ক্রমে বেলা অবসান হইল। অপরাক্ক , চারিটার পর ঝড়ের বেগ কিমিয়া আসিতে লাগিল। গ্রামস্থ যাহারা