পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৬৪ সালের আশ্বিনের ঝড় dst ويمچيهما সেই গৃহে আশ্রয় লইয়াছিল তাহারা “বাবা রে, মা রে” করিতে করিতে স্বীয় স্বীয় ভবনের উদ্দেশে যাত্রা করিল। আমাদের শালতির চালক দুইজন আমাদের বিছানা ও কিছু কিছু জিনিস পত্র মাথায় করিয়া আসিয়া উপস্থিত হইল। বলিল, শালতি খাল হইতে লইয়া এক পুকুরের ধারে বাধিয়া রাখিয়াছিল, দড়ি ছিড়িয়া পুকুরের মধ্যে ডুবিয়া গিয়াছে। তখন আর উদ্ধার করিবার সময় নাই ; সন্ধ্যা সমাগতপ্রায়। তাহাদিগকে সেই ভাঙ্গা দাবাতে কোনও প্রকারে রাত্রিযাপন করিতে বলিয়া আমরা সেই দরিদ্র ব্রাহ্মণের ভাঙ্গা ঘরে রাত্রিযাপন করিবার জন্য প্রস্তুত হইলাম। তাহারা পোদ নামক হীনজাতীয় লোকের ব্রাহ্মাণ • ক্রমে সন্ধ্যা সমাগত হইল। সেই গৃহের বৃদ্ধ-বৃদ্ধর বীরপ্রকৃতি-সম্পন্ন যুবক পুত্র সমস্ত দিনের অনাহার ও গুরুতর শ্রমের পর ক্লান্ত হইয়া আসিয়া ঘরের মধ্যে পড়িল। পিতা মাতা ব্যাকুল হইয়া অনুরোধ করিতে লাগিল, “ওরে, তুই মুখ হাত ধুয়ে ওই চৌকীর নীচে তোর ভাত আছে, খা ।” তখন আমরা সেই ঘরে নয়জন ; আমরা বিদেশীয় পাচজন, ও বুড়োবুড়ী যুবক পুত্র ও গভিণী পুত্রবধু এই চারিজন। পিতামাতার অনুরোধ ও ব্যগ্রতা দেখিয়া যুবকটি বলিল, “বাবুরা সমস্ত দিন অনাহারে আছেন ; ওঁরা ঘরে বসে থাকবেন, আর আমি খাব, তা, কি হয় ?” কোনওরূপেই সে খাইব্লে না। ইহাতে আমরা বাহিরের লোক চটিয়া উঠিলাম ; বলিলাম, “সে কি কথা । এই বিপদে কি কেউ আতিথ্য করতে পারে ? তুমি সমস্ত দিন ছুটাছুটি করেছ, তুমি ঐ ভাত খাও, কিছুই অন্যায় হবে না।” সে তাহা শুনিল না, বসিয়া রহিল। শেষে আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “আচ্ছা, তোমাদের ঘরে আমাদের খাবার মত কিছু আছে কি না ?” যুবক বলিল, “চাউল আছে, তাহা ভিজে গিয়েছে।” উত্তর, *আচ্ছা, ভিজা চাউল আমাদিগকে