পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ve শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৪র্থ পঃি দাও।” সেই ভিজা চাউল লইয়া আমি সকলকে দিলাম ; বলিলাম, “ভাল লাগুক না-লাগুক আপনারা খান, তা না হলে ও-ব্যক্তি খাবে না।” আমরা ভিজা চাউল খাইতে প্রবৃত্ত হইলাম। হঠাৎ মনে হইল, শালতিতে একহঁাড়ি মাষকলাই বাড়ীর জন্য লইয়া যাইতেছিলাম, সমস্ত দিন ভিজিয়া তাহাতে কল বাহির হইয়াছে। আমি সেই ভিজা কলাই আনিয়া সকলকে চাউলের সঙ্গে খাইতে দিলাম। আমাদের আহারটা বড় মন্দ হইল না। তৎপরে শয়নের ব্যাপার। সেই দরিদ্র। ব্রাহ্মণের ঘরে যতগুলি লেপ কথা মাদুর ছিল, সমুদয় সমাগত কম্পান্বিত বালক-বালিকাদিগকে চাপা দিবার জন্য দিয়াছিল, তাহাতে সে সমুদয় ভিজিয়া গিয়াছে ; কেবল দুইটী সেতলা মাদুর তখনও শুকনো আছে। গৃহস্বামীর পুত্র প্রস্তাব করিল যে, তাহার একটিীতে তাহারা সপরিবারে শয়ন করিবে, আর-একটাতে আমরা পাচজন শয়ন করিব। আমার সঙ্গের লোকেরা তাহাতে সম্মত হইয়া আদরের সহিত মাদুরটীি লাইলেন; তাহা লইয়া তাহদের সঙ্গে আমার ঝগড়া হইল। আমি বলিতে লাগিলাম, “ছি ছি! ও মাদুর নেবেন নু, ওরা মাদুরে শুক।” এই প্রস্তাবে সঙ্গের পথিকেরা হাসিতে লাগিলেন, “আমরা পাঁচজনে এক মাদুরে শুই, ওরা চারজনে আর-এক মাদুৱে শুক। এ বিপদে আর ভদ্রতা করবার সময় নাই।” এই কথাতে আমি রাগ করিয়া মাদুরের বাহিরে কাদাতে শুইয়া অগাধ নিদ্রা দিলাম। ہم w পরদিন প্রাতে যখন চক্ষু খুলিলাম, তখন দেখি বেশ রোদ উঠিয়াছে আমার আগ্রেই আর সকলে জাগিয়া প্রাত:কৃত্য সমাপন করিতেছিলেন। আমি বাহিরে গিয়া দেখি, বৃদ্ধ-বৃদ্ধার যুবক পুত্রটি আমাদের শালতির চালকদ্বয়ের সঙ্গে পুকুরে ডুবিয়া ডুবিয়া শালতিখানি তুলিবার চেষ্টা করিতেছে। দেখিয়া তাহাকে ওপ্রকার জলে ডুবিতে বারণ করিলাম, কিন্তু সে সে-কথার প্রতি কর্ণপাত করিল না। ক্রমে তিনজনে শালতিখানি।