পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soo শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৪র্থ পারী' বড়মামা বৈকালে আমাকে ডাকাইয়া সমুদয় কথা শুনিলেন। বলিলেন, উড়ো সাহেব যে তোমাকে জুতা খুলাইতে পারেন নাই। ইহাতে আমি বড়ই সন্তুষ্ট হইয়াছি। তুমি আমার ভাগিনার মত কাজ করিয়াছ। তৎপরে তিনি সোমপ্রকাশের জন্য ইহার একটি বিবরণ লিখিয়া দিতে বলিলেন। আমি "উড়ো সাহেব ও চট জুতা” হেডিং দিয়া ইহার একটি . বিবরণ লিখিয়া দিলাম। পরবর্তী সোমবারে “ফলনা সাহেব ও চট জুতা।” হেডিং দিয়া বড়মামা সেটী বাহির করিলেন, এবং বেচারি উড়ো সাহেবের উদ্দেশে অনেক উত্তম মধ্যম তিরস্কারের ব্যবস্থা করিলেন। পরে শুনিতে পাইলাম, উড়ো, সাহেব তাহ পাঠ করিয়া আমার প্রতি হাড়ে হাড়ে চটিয়া গেলেন, এবং আপীসের বাবুদিগকে বলিলেন, “এই ছেলে কলেজ থেকে বাহির হইয়া যদি কর্ম্মপ্রার্থী হয় আমাকে জানাইও” । আমি উড়ো সাহেবের ন্যায় সদাশয় পুরুষের বিষনয়নে পড়িয়া গেলাম ভাবিয়া বড় দুঃখ হইল। তিনি অতি সদাশয় মানুষ ছিলেন বলিয়া এ ঘটনা তার মনে রহিল না ; কারণ পরবর্তী সময়ে আমি যখন ভবানীপুরের সাউথ সুবাৰ্বন স্কুল হইতে হেয়ার স্কুলে আসি, তখন তিনিই উদ্যোগী হইয়া আমাকে আনিয়াছিলেন। তখন তাহার কর্ম্মচারীরা তঁাঃার আদেশ-মত পূর্বের কথা তাহার নিকট ব্যক্ত করেন নাই ; কঙ্কলে কি দাড়াইত জানি না। উড়ো সাহেব যেরূপ সদাশয় পুরুষ ছিলেন, এবং আমার ভবানীপুর সাউথ সুবাৰ্বন স্কুলের কাজে যেরূপ সন্তুষ্ট হইয়াছিলেন, তাহাতে সবিশেষ বিবরণ জানিলেও কিছু করিতেন না। এইরূপ মনে হয়। আমার মাতুল, মহাশয় সোমপ্রকাশে আন্দোলন করিয়াছিলেন বলিয়াই কবিতা-লেখা-সূত্রে প্যারীচরণ সরকার মহাশয়ের সহিত কবিতা লিখিতাম। লোকে পড়িয়া প্রশংসা করিত। তাহাতে কবিতা