পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচািরত প্রার্থনা করিতাম। দুঃখের বিষয় আমার সে প্রার্থনার খাতাখানি হারাইয়া গিয়াছে। নতুবা ধর্ম্মজীবনের শৈশবের সেই আধ্য আধ্য ভাষা আজ দেখিতাম । । ধর্ম্মের আদেশে চলিবার সঙ্কল্প ; ব্রাহ্মসমাজের সহিত যোগ আরম্ভ -প্রার্থনা করিতে করিতে হৃদয়ে দুইটী পরিবর্তন দেখিতে পাইলাম। প্রথম, দুর্বলতার মধ্যে বল আসিল ; আমি মনে ংকল্প করিলাম, “কর্ত্তব্য বুঝিব যাহা, নির্ভয়ে করিব তাহা, যায় যাক থাকে থাক ধন প্রাণ মান রে।” আমি ধর্ম্মের আদেশ ও হৃদয়বাসী ঈশ্বরের আদেশ অনুসারে চলিবার জন্য প্রস্তুত হইলাম। দ্বিতীয়, ভবানীপুর ব্রাহ্মসমাজে ঈশ্বরের উপাসনাতে যাইব স্থির করিলাম, ও যাইতে আরম্ভ করিলাম। কিন্তু পাছে আমাকে কেহ কিছু জিজ্ঞাসা করেন, পাছে লোকের সঙ্গে আলাপ হয়, এই ভয়ে উপাসনা আরম্ভ হইলে যাইতাম, ও উপাসনা ভাঙ্গিবার অগ্রেই চলিয়া আসিতাম। এই সময় হইতে ব্রাহ্মসমাজের সঙ্গে আমার একটু একটু করিয়া যোগ হইতে লাগিল। আমার সমাধ্যায়ী বন্ধু উমেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ( যিনি পরে বিলাতে গিয়া ডাক্তার হইয়া আসিয়াছিলেন ; তখন ব্রাহ্মদের নিকট সর্ব্বদা যাইতেন, কেশবচন্দ্র সেন মহাশয়ের কথা আমাকে আসিয়া বলিতেন, এবং ব্রাহ্মদের প্রকাশিত পত্রিকাদি আনিয়া আমাকে পড়িতে দিতেন ; কিন্তু আমাকে ব্রাহ্মদের কাছে লইতে চাহিলে লজ্জাতে যাইতে চাহিতাম না। একদিনের কথা স্মরণ হয়। উমেশ আমাকে ও যোগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (যিনি পরে যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ নামে বিখ্যাত হইয়াছেন ) ভজাইয়া কেশববাবুর কলুটােলার বাড়ীতে লইয়া গিয়া দেখা করাইয়া দিতে চাহিলেন। আমি কেশব বাবুর বাড়ার দ্বার পর্যন্ত গেলাম, কিন্তু বাড়ীর মধ্যে পা বাড়াইতে পারিলাম না ; উমেশের হাত ছাড়াইয়া পলাইয়া গেলাম। আর-একবার -...-alia