পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেবার প্রতিজ্ঞা করিয়া গেলাম যে আর ঠাকুর পূজা করিব না। গিয়াই মাকে সে সংকল্প জানাইলাম। মা ভয়ে অবশ হইয়া পা ড়িলেন। , বুঝিলেন, একটা মহা সংগ্রাম আসিতেছে। আমাকে অনেক বুঝাইলেন ; অনেক অনুরোধ করিলেন ; আমি কোনও মতেই প্রস্তুত হইতে পারিলাম না। “ধর্ম্মে প্রবঞ্চনা রাখিতে পারিব না” বলিয়া করযোড়ে মার্জন ভিক্ষা করিলাম। অবশেষে সেই সংকল্প যখন বাবার গোচর করা হইল, তখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুদগমনের ন্যায় তাহার ক্রোধাগ্নি জ্বলিয়া উঠিল। তিনি কুপিত হইয়া আমাকে প্রহার করিয়া ঠাকুবঘবেল দিকে লইয়া যাইপার জন্য লাঠি হস্তে ধাবিত হইয়া আসিলেন । আমি ধীরভাবে বলিলাম, “কেন বৃথা আমাকে প্রহার করিবেন ? আমি অকাতরে আপনার প্রহার সহ্যু করিব। আমার দেহ হইতে এক একখানা হাড় খুলিয়া লইলেও আর আমাকে ওখানে লাইতে পারিবেন না।” এই কথা শুনিয়া ও আমার দৃঢ়তা দেখিয়া তিনি হঠাৎ দাড়াইয়া গেলেন, এবং প্রায় অৰ্দ্ধ ঘণ্টা কাল কুপিত ফণীর ন্যায় ফুলিতে লাগিলেন। অবশেষে আমাকে পূজার কাজ হইতে নিস্কৃতি দিয়া নিজে পূজা করিতে বসিলেন। । সেই দিন হইতে আমার মূর্ত্তিপূজা রহিত হইল। ত: মি সত্যস্বরূপের উপাসক হইলাম। কিন্তু আমাদের পারিবারিক ...ন্দোলন গ্রামবাসী আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িল। আমাকে সকলেই নির্য্যাতন করিতে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ হইলেন। তৎপরে বাবা আমাকে গ্রামস্থ ব্রাহ্মদিগের সহিত মিশিতে নিষেধ করিতে লাগিলেন। আমি অন্য সময়ে মিশিতাম না ; কিন্তু যে, দিন তাহারা সকলে উপাসনা করিবেন বলিয়া সংবাদ । দিতেন, সেদিন বাবা গাত্রোখান করিবার পূর্বেই গিয়া উপাসনাতে যোগ । দিতাম ; আসিয়া তিরস্কার ও গঞ্জনা সহ্য করিতাম। তখন কেহ ব্লোঞ্ছাপুনিওক্সৰ্বোনিলে চারি পাঁচ মাইল হাঁটিয়া গিয়া যোগ দেওয়া {