পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRo শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৫ম পরিঃ মৌনব্রত ধরিলাম। এই মনের কাণমালাটা তখন অতিরিক্ত মাত্রায় হৃদয়ে ধর্ম্মভাবের উন্মেষ হওয়া অবধি আমি কলেজের পরীক্ষাতেও উৎকৃষ্ট হইতে লাগিলাম। তদবধি প্রতিবৎসর আমি কলেজে প্রথম স্থান অধিকার করিতে লাগিলাম। আত্মনিগ্রহের উদ্দেশ্যে, পাঠ্যবিষয়ে মধ্যে মধ্যে অপ্রীতিকর বোধে যে যে বিষয় অবহেলা করিতাম, তাহাতে অধিক মনোযোগী হইলাম। আমার মনে আছে, অগ্রে অঙ্কে অমনোযোগী ছিলাম, তাহার ফলস্বরূপ পরীক্ষাতে কখনও একশতের মধ্যে বিশের উপর নম্বর পাইতাম না। ১৮৬৬ সাল হইতে তাহা বদলাইয়া গেল। অঙ্কে এরূপ মনােযোগী হইলাম যে ঐ বৎসর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হইয়া সেকেণ্ড গ্রেড স্কলারশিপ পাইলাম ; কলেজেও প্রথম হইলাম। তৃৎপরে সেই প্রতিজ্ঞ ও সেই দৃঢ়ব্রত রহিয়া গেল। কি কঠিন সংগ্রাম করিয়া ১৮৬৮ সালে এল এ পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হইয়াছিলাম ও ৫৯২ টাকা স্কলারশিপ পাইয়াছিলাম, তাহার বর্ণনা ক্রমশঃ করিতেছি। আমার নব ধর্ম্মভাব আমাকে সেই সংগ্রামে শক্তি দিয়াছিল। . ফলাফলবিচার-রহিত দুৰ্জয় প্রতিজ্ঞ ।-বাঁশিতে কি, আমার ধর্ম্মজীবনের আরম্ভ হইতে এই ১৮৬৮ সাল পর্যন্ত কালকে শ্রেষ্ঠকাল বলিয়া মনে করি। এই সময় ঘুে ভাবে যাপন করিয়াছিলাম, সেজন্য মুক্তিদাতা প্রভু পরমেশ্বরকে মুক্তকণ্ঠে ধন্যৱাদ করি। বিনয়, বৈরাগ্য, ব্যাকুলতা, প্রার্থনাপরায়ণতা প্রভৃতি ধর্ম্মজীবনের অনেক উপাদান এ সময়ে আমার অন্তরে বিদ্যমান ছিল। আমার যতদূর স্মরণ হয়, তখন আমার মনের ভাব এইপ্রকার ছিল যে, আমার ধর্ম্মবুদ্ধিতে থাকিয়া, ঈশ্বর যে পথ দেখাইবেন, তাহাতে চলিতে হইবে, ক্ষতি লাভ যাহা হয় হউক। সকল বিষয়ে ও সকল কার্য্যে ঈশ্বর-চরণে প্রার্থনা করিতাম, এবং যাহা একবার