পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिदांश् c७म्र २२> হাইতাম। ফলাফল ও জীবন-মরণ বিচার করিতাম না। ইহার নিদর্শন স্বরূপ যোগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও উপেন্দ্রনাথ দাসের বিধবাবিবাহ দেওয়া, ও আমার এল এ পরীক্ষার জন্য গুরুতর শ্রম, প্রভৃতি ঘটনার উল্লেখ করিতে পারা যায়। সে সকল ক্রমশঃ বর্ণনা করিতেছি। যোগেন্দ্রনাথ ४न्गा|1|१|Itशन বিধবাবিবাহ দেওয়া 1-e ঘটনা, যোগেন্দ্রের বিধবাবিবাহ। এই বিবাহ ১৮৬৮ সালের প্রথম ভাগে হয়। ইহার ইতিবৃত্ত এই। ঈশানচন্দ্র রায় নামক নদীয়া-কৃষ্ণনগরনিবাসী ও কলিকাতা-প্রবাসী একটি যুবক তখন কলিকাতা মেডিকেল ‘কলেজে পাঠ করিতেন। তঁহার সঙ্গে তঁাহার মাতা ও একটী বিধবা ভগিনী ছিলেন। আমার জ্ঞাতি দাদা হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন ( যিনি পরে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক হইয়াছিলেন) ঐ মেয়েটকে পড়াইতেন। হেমন্দাদার নিকট আমি মেয়েটার প্রশংসা সর্ব্বদা শুনিতাম। তিনি আমাকে বলিতেন যে, মেয়েটীর ভাই তাহার আবার বিবাহ দিতে চায়। আমি শৈশবাবধি বিদ্যাসাগরের চেলা ও বিধবা-বিবাহের পক্ষ । আমি মনে মনে ভাবিতাম, আমার আলাপী কি কোনও ছেলে পাওয়া যায় না, যে মেয়েটকে বিবাহ করিতে পারে ? - * . ইতিমধ্যে আমার সহাধ্যায়ী বন্ধু যােগেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় বিপত্নীক হইলেন। র্তাহার প্রথম স্ত্রীর পরলোকগমনের দশ বার দিনের মধ্যেই তাহার আত্মীয় স্বজন তঁহাকে পুনরায় দারপরিগ্রহ করিবার জন্য অস্থির ২ করিয়া তুলিলেন। যোগেন্দ্র আসিয়া আমাকে সেই কথা জানাইলেন এবং আমার পরামর্শ চাহিলেন। আমি বলিলাম,-“যাও, যাও, আমাকে । কিছু জিজ্ঞাসা করো না। দশ বার দিন হলো তোমার স্ত্রী মরেছে, এর । মধ্যে বিবাহের কথা! আর বিয়েই যদি কর, একটী আট নয় বছরের } মেয়ে বিয়ে কবে ত, তাতে আমার মৃত নেই; তোমার যা ইচ্ছে হ