পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৫ম পরিঃ 98אל মাডাম ব্লাভাটুিস্কি মহাত্মাদের নামে চিঠি জাল করিবার অপরাধে অপরাধী হইয়া এদেশ ত্যাগ করিতে বাধ্য হন; উপেন্দ্রনাথ দাস। এদেশে অনেক প্রকার প্রবঞ্চনা করিয়া বিলাতে গিয়া সেই অপরাধে কয়েদ হন। যাহাঁইউক, তখন উপোনের white liesএর সমর্থন শুনিয়া প্রতিবাদ করিয়াছিলাম বটে, কিন্তু উপেনকে পরিত্যাগ করি নাই। বোধহয় এই ১৮৬৮ সালের মধ্যভাগে উপেনের প্রথম স্ত্রীর হঠাৎ মৃত্যু হইল। কিরূপে মৃত্যু হইল, বুঝিতে পারা গেল না। কারণ ডাক্তার দেখাইবার সময় হইল না। উপেনের মুখে শুনিলাম, হঠাৎ কলেরা হইয়া কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মারা গেলেন। শোকটা পুরাতন হইতে না হইতে একদিন দুপুর বেলা উপেন কতিপয় বন্ধু সহ সংস্কৃত কলেজে আসিয়া আমাকে এল-এ ক্লাস হইতে ডাকিয়া পাঠাইলেন। বলিলেন, “তুমি শুনিয়া সুখী হইবে, আমি এক বিধবাকে বিবাহ করতে যাচ্চি। মেয়েট ভবানীপুরে আছে, চুরি করে আনতে হবে। তার মায়ের মত আছে, কিন্তু মামা অভিভাবক, তার মত নাই।” মেয়ে এইরূপে চুরি করা ভাল কি না, আনিয়া কোথায় রাখা হইবে, কবে কিরূপে বিবাহ হইবে, এ-সকল প্রশ্ন মনে উঠিল না ; মেয়ে ফুৰি করিয়াই বিধবাবিবাহ দেওয়া যাইবে, এই উৎসাহেই কলেজ হইতে বিদায় লইয়া তঁহাদের আমরা তিনটী যুবক, গাড়িতে মেয়েটার জায়গা মাত্র আছে। গাড়ি গিয়া ভবানীপুরে এক গলির মোড়ে দাড়াইল। কথা ছিল, মেয়েটার জ্যেষ্ঠা তাহা হইল না, আমরা অনেকক্ষণ দাড়াইয়া রহিলাম, মেয়েটা আসিল না।