পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ke শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচািরত ,এম পরিঃ অত্যগ্রসর সংস্কারক দলের লোক বলিয়া জানিতাম। সেই রাত্রি দ্বিপ্রহরের সময় সেই কন্যাকে গাড়ি করিয়া লইয়া মহলানবিশ মহাশয়ের পরিবারে রাখিতে গেলাম। তিনি আনুপূর্বিক সমুদয় বিবরণ শুনিয়া কন্যাটীকে এক রাত্রির জন্য স্থান দিলেন। , তৎপরদিন খিচুড়ী বিবাহ হইল। এরূপ শোনা গেল, মেয়োটী কায়স্থজাতীয়া, যদিও পরে জানা যায় যে তাহা নহে, তদপেক্ষা নিমজাতীয়া। কায়স্থদের কন্যা, ইহা শুনিয়া উপেনের মনে হইল, তবে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মতে বিবাহ করিলে আইনসিদ্ধ হইতে পারে। সুতরাং পরদিন প্রাতেই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের মতে বিবাহের বন্দোবস্ত হইল। তদনুসারে, পুরোহিত ও ঠাকুর আসিয়া একটা বিবাহক্রিয়া হইল। আবার এদিকে উপেন সহরের बज़ बद्ध লোকদিগকে নিমন্ত্রণ করিয়া এক মহাসভার আয়োজন করিয়াছিলেন। সেখানকার জন্য ত কিছু করা চাই। স্থির হইল সেখানে একটু ঈশ্বরোপাসনা হইবে, ও বীরকন্যা উভয়ে একটা লেখাপড়াতে স্বাক্ষর করবেন। কিন্তু উপাসনা করিত্বে কে ? আমি অথবা উমেশ মুখুয্যে; কারণ, এই দুইটী। ঐ যুৱকদলের ব্রাহ্ম বলিয়া পরিচিত। আমাদের সঙ্গে আর একজন ব্রাহ্ম ছিলেন, তিনি প্যারীমোহন চৌধুরী, যিনি পরে আচার্য্য কেশবচন্দ্র সেন মহাশয়ের প্রেরিত দলে প্রবেশ করিয়াছিলেন। এই তিনজন ব্রাদ্ধের মধ্যে কেন যে আমার দ্বারা উপাসনা করান সকলের মত হইয়াছিল, তাহা আমার স্মরণ নাই। যতদূর মনে হয়, এ পরামর্শ বিবাহের কিঞ্চিৎ পূর্ব্বে স্থির হয়, এবং আমি শেষ মুহূর্ত্ত পর্যন্ত জানিতে পারি নাই। । আমি ওদিকে কন্যা আনিতে গিয়া একদল মাতালের হাতে পড়িয়া টানাটানির মধ্যে আছি। আমি যে গাড়িতে করিয়া কন্যাকে অনিতেনাম সেই গাড়ি ও আর-একখানি গাড়ি একটী ছোট গলির মধ্যে দুই