পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৬৮-৬৯ ] উপেন্দ্রনাথ দাসের বিধবা-বিবাহ দেওয়া Yxos দিক হইতে আসিয়া পাশাপাশি পার হইতে গিয়া চাকায় চাকায় আটকাইয়া গেল। কোনও খানি বাহির হয় না। আমি গাড়ি হইতে নামিয়া চাকা টানাটানি করিতেছি, এমন সময় একদল মাতাল আসিয়া উপস্থিত। তাহাদের মধ্যে একজন আমার পরিচিত। মাতালেরা আমাকে জিজ্ঞাসা করিল, “একি বাবা! রাস্ত আটকেছ কেন ?” যখন কারণ নির্দেশ করিলাম, । তখন সকলে কাঁধ দিয়া গাড়ি ছাড়াইয়া দিতে প্রবৃত্ত হইল। একবার fFEST Kfar, “Is the re any gentlewoman, q fr ?” TETfR বলিলাম, “হঁ।” তার পরে আর কেহ গাড়ির দ্বারের কাছেও যায় না, এতই সন্ত্রম দেখাইতে লাগিল। সকলে পড়িয়া কঁধ দিয়া গাড়ি তা ছাড়াইয়া দিল ; কন্যার শ্বাড়ি চাকরের সহিত বিবাহ-সভা অভিমুখে ছুটিল ; এদিকে মাতালেরা চারি পাঁচ জনে পড়িয়া আমাকে ধরিল, “এত করে গাড়ি ছাড়ালাম, বাবা, কিছু দিতে হবে।” তখন আমার মনে ছিল না যে, আমার পকেটে একটা টাকা আছে। আমি অনেক অনুনয় বিনয় করিলাম, বিবাহ-সভাতে যাইতে বলিলাম, কিছুতেই রাজি নয়, আমার চাদর কাড়িয়া লাইতে উদ্যত। আধঘণ্টা টানাটানির পর মনে হইল যে সঙ্গে একটা টাকা আছে। টাকাটা দিয়া নিস্কৃতি পাইয়া, বিবাহসভাতে যেই গিয়া উপস্থিত, অমনি শুনিলাম, আমাকে সভামধ্যে উপাসনা করিতে হইবে, সকলে উৎসুক, অন্তরে অপেক্ষা করিতেছে ! সে কি উপাসনা করিবার অনুকুল অবস্থা ? আমি শুনিয়া অস্বীকৃত। হইলাম। কিন্তু শোনে কে ? তৎপূর্ব্বে কখনও প্রকাশ্য স্থানে উপাসনা করিয়াছিলাম, এরূপ স্মরণ হয় না। যে লাজুক ছিলাম, বোধ হয় করি নাই। লাজুক ছিলাম, এই কথাটি পড়িয়া বন্ধুদের অনেকে হয় তা মনে মনে হাসিবেন। কারণ র্তাহারা আমাকে এ সকল বিষয়ে ও অন্যান্য বিষয়ে চিরদিন বেপরোয়া ও বেহায়া দেখিয়া আসিতেছেন। কিন্তু তখন আমি উপাসনাদি বিষয়ে বাস্তবিক বড় লাজুক ছিলাম ! সেই মানুষকে ধরিয়া