পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°C@部 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৫ম পরিঃ আমি। মহাশয়দের অনভিমতে আমার কিছু করিবার ইচ্ছা নয়। আপনারা নিষেধ করিলে এখনি ও-সব থামিয়া যাওয়া উচিত। তবে মহাশয়দিগকে একটা কথা ভাবিতে বলি। অভিনয়ের আর তিন চার দিন আছে। হুগলী কৃষ্ণনগর প্রভৃতি কলেজের ছেলেদের নিমন্ত্রণ করা হইয়াছে, এখন না করিলে আমাদের বড় লজ্জার কথা । অন্ততঃ একবার অভিনয়ের জন্য অনুমতি দিন । প্রিন্সিপাল। আচ্ছা তুমি যাও, আমরা বিবেচনা করি, তার পর তোমায় আবার ডাকিব । আমি ত “যে আজ্ঞা” বলিয়া প্রস্থান করিলাম। বন্ধুদলে আসিয়া সংবাদ দিলে মহা উত্তেজনা দৃষ্ট হইল। তাহাদিগকে থামাইতে অনেক সময় গেল । অবশেষে অধ্যাপকগণ আবার ডাকিলেন । ডাকিয়া বলিলেন, “তোমরা একবার মাত্র অভিনয় করিতে পার। তবে তােমাকে তিনটী কাজ করিতে হইবে। প্রথম, নিম্নশ্রেণীর যে-সকল বালককে অভিনয়ে লইয়াছ, তাহদের অভিভাবকদের অনুমতি আনিতে হইবে। দ্বিতীয়, অভিনয়স্থলে গায়ক ও বাদকদের সঙ্গে কলেজের ছেলেদিগকে মিশিতে দিবে না। তৃতীয়, নিম্নশ্রেণীর ছেলেদিগকে ঘী:ব পাঠাইয়া। তবে তুমি সেস্থান ত্যাগ করবে। আমি “যে আজ্ঞ বলিয়া তাহাতেই সম্মত হইলাম । যথাসময়ে রাজবাড়ীতে अंख्नग्न হইল। অধ্যাপকগণকে নিমন্ত্রণ করিয়াছিলাম, তাহদের মধ্যে কেহ কেহ উপস্থিত ছিলেন। অভিনয় বেশ হইল, কিন্তু আমার সেদিন গুরুতর দায়িত্বভারে আমোদ করিবার সময় হইল না। গায়ক ও বাদকদিগকে প্লাটফরমের নীচে বসাইয়া বেড়া দিয়া দিয়াছিলাম ; নিজে সমস্ত সময় সাজঘরের ভিতর ছিলাম, কেবল নিজের অভিনয়ের সময় বাহিরে আসিয়াছিলাম ; এবং রাত্রি একটার সময় ।