পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

馨 R শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [ ৬ষ্ঠ পরিঃ এমনি তন্মানস্ক ! আমার হস্তপদের প্রত্যেক গতিবিধি লক্ষ্য করিতেছে। কিয়াৎক্ষণ পরে আমি যখন বলিলাম, “মা, একটু তেল দাও, নেয়ে আসি।” তখন একটী স্ত্রীলোক বলিয়া উঠিল, “মা ঠাকরুণ, কথা কয় ?” মা বলিলেন, “কথা কবে না কেন ?” শুনিয়া আমার ভয়ানক হাসি পাইল । ভাবিলাম, আমি যেটা কর্ত্তব্যবোধে করিতেছি, সেটা ইহাদের নিকট পাগলামি ! শিক্ষাতে কি প্রভেদই ঘটাইয়াছে! আর একদিন বৈকালে একটি স্বসম্পৰ্কীয়া স্ত্রীলোক আসিয়া দেখেন যে আমি মুড়ি খাইতেছি। দেখিয়া বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া বলিলেন, “ওমা, এই যে মুড়ি খায় ; কে বলে আমাদের মধ্যে নাই ?” তাহারা ভাবিয়াছিলেন, আমি কিভূতকিমাকার হইয়া গিয়াছি। যাহা হউক, আমার বাবা আমাকে মাসাধিক কাল আবদ্ধ করিয়া রাখিলেন। এই সময়ের মধ্যে দিবারাত্র লোকের সমাগম, ও একই কথা, একই তর্ক, একই যুক্তি, ” একই আপত্তি, একই গালাগালি। কতই বা তর্ক করিব, কতই বা উত্তর দিব ? আমি একেবারে মৌনব্রত অবলম্বন করিলাম। যিনি যাহা বলিতেন, বা তিরস্কার করিতেন, झिस्कि করিতাম না। শেষে বাবা আর আমাকে অ’ বন্ধ রাখা বিফল বোধে আমাকে বিদায় দিলেন। সেদিনের ক" মনে হইলে আর চক্ষের জল রাখিতে পারি না । তিনি অতি সহৃদয় মানুষ ছিলেন । তঁহার ভিতরে নীচতা কিছুমাত্র ছিল না। তিনি আমার প্রয়োজনীয় সমুদয় জিনিসপত্র দিয়া নিজাব্যয়ে আমাকে কলিকাতা পাঠাইলেন। তখন বুঝি নাই, যে আমাকে জন্মের মত বৰ্জন করিবার জন্য প্রতিজ্ঞারূঢ় হইয়াছেন। সেই অবধি ১৮ কি ১৯ বৎসর আমার মুখদর্শন করেন নাই, दl च्षांभांब मश्ठि बांकJांत्रां° कझान नाहे । পিতৃগৃহ হইতে তাড়িত হওয়া।--আমার পিতা আমাকে গৃহ হইতে বিদায় দিয়া প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন যে, আমার মুখদর্শন করিবেন।