পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.

  • ***, ... শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [ ৬ষ্ঠ পরিঃ

ধরিলেন। তখন আমি অবাধে গৃহে গিয়া মাতাকে দেখিয়া আসিতে লাগিলাম। আমাকে বাড়ীতে প্রবেশ করিতে দেখিলে বাবা নিজে বাড়ী পরিত্যাগ করিয়া বাহিরে যাইতেন, আমি গৃহে আছি। জানিলে সেদিকে আসিতেন না। আমাকে দেখা বা আমার সঙ্গে কথা কহা বন্ধ রাখিলেন, কিন্তু আমাকে বাড়ীতে থাকিতে ও খাইতে দিতে আপত্তি করিতেন না । বরং নিজে বাজারে গিয়া যে-সকল দ্রব্য আমি ভালবাসি তাহা কিনিয়া আনিতেন ; মাকে বলিতেন, “কলা-ভোঁদড় ঘরে এসেছে, কলা কিনে এনেছি, খেতে দাও।” এইরূপ কিছুকাল চলিতে লাগিল। পত্নী প্রসন্নময়ীকে কলিকাতায় লইয়া আসা -আমি পিতৃগৃহ। হইতে তাড়িত হইয়া যেন আকুল সমুদ্রে ভাসিলাম। সৌভাগ্যের বিষয় বড় স্কলারশিপটা ছিল, সেজন্য অন্নবস্ত্রের চিন্তাতে অভিভূত হইতে হইল না। আমি আসিয়া পটলডাঙ্গা মিরজাফরুল্স লেনে, শ্রীযুক্ত বাবু হরগোপাল সরকারের সহিত একত্র বাসা করিলাম। তিনি রামতনু লাহিড়ীর ভ্রাতুষ্পপুত্রী শ্রীমতী অন্নদায়িনীকে বিবাহ করিয়া সংসার পাতিয়া বসিলেন । অন্নদায়িনীর ভগিনী কুমারী রাধারাণী লাহিড়ী তখন আমাদের সঙ্গেই ছিলেন। ইহঁদের সংশ্রবে থাকিয়া আমি বড়ই উপকৃত গাইতে লাগিলাম। ইহঁাদিগকে দেখিয়া আমার নারীজাতির প্রতি শ্ল’গ্ধ। অনেক বাড়িয়া গেল । বিশেষতঃ ইহঁাদিগের সহিত সম্বন্ধসূত্রে রামতনু বাবুর সহিত আলাপ পরিচয় হইয়া, তাহাতে আমি সাধুতার যে আদর্শ দেখিলাম, তাহা ভুলিবার নহে। আমি শ্বশুরকুল হইতে প্রসন্নময়ীকে আনিয়া ইহঁদের কয়েক মাসের মধ্যেই তঁাহার স্বাস্থ্য একেবারে ভাঙ্গিয়া গেল। আমার স্কলারশিপ মাত্র অবলম্বন, এদিকে আবার বি-এ পরীক্ষার বৎসর উপস্থিত। সাংসারিক চিন্তা, রোগীর সেবা,শিশুকন্যা হেমলতার রক্ষণাবেক্ষণ, এই-সকল