পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৭ম পরিঃ বলিলেন, “ওহে, তুমি ওঁকে ইংরাজী শেখাও তাঁ।” তদনন্তর তিনি আমার ছাত্রী হইলেন। কেশব বাবু তঁাহার প্রকৃতির সরলতা জানিতেন। তিনি free eit *VS'sfe Children's Magazine's reading books আনিয়াছিলেন। তাহার একখানি তঁহাকে পড়াইবার জন্য দিলেন । আমি হাসিয়া বলিলাম, “এ যে ছোট ছেলেদের বই।” তিনি বলিলেন, “আরে, উনি প্রথম ইংরেজী পড়বেন তা ? হলই বা ছোট ছেলেদের বই ; তুমি পড়াতে আরম্ভ কর না, দেখবে উনি মনে ছোট ছেলেই আছেন।” কাজেও তাহার প্রমাণ পাইলাম। র্তাহার পাঠ্যপুস্তকে একটী ছোট মেয়ের ছবি ছিল, তাহার মাথায় কেঁকড়া কেঁকড়া চুল ; মেয়েটি দেখিতে সুন্দর, কিন্তু বড় দুষ্ট। ওই ছবির সঙ্গে তাহার, দুষ্টামির অনেক গল্প আছে। আচার্য্য-পত্নী তাহার জীবনে এত দুষ্টামির কথা বোধ হয় শোনেন নাই। তিনি পড়িয়া বড়ই বিরুক্তি হইয়া গেলেন ; ছবিটা পর্য্যন্ত র্তাহার চক্ষের শূল হইয়া দাড়াইল ! / একদিন পড়িবার জন্য যেই বই খুলিয়াছেন, অমনি সেই ছবিটা বাহির হইল। তিনি দেখিয়া রাগিয়া গেলেন ও নিজের মনে মনে বলিতে লাগিলেন, “মা গাে মা ! কি দুষ্ট মেয়ে! দেখলেই রাগ হয়!”। আমি শুনিয়া হাসিয়া বলিলাম, “রাগেন কার উপরে ? ও যে ছবি। আর ও-সব যে কল্পিত গল্প!” তিনি সেদিকে কান দিলেন না। র্তাহার দ্বিতীয় কন্যার উল্লেখ করিয়া আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তার চুলগুলো কি কেটে দেবো ? তারও চুলগুলো ঠিক এমনি কেঁকুড়া কেঁকুড়া, দেখলে ঐ ছবিটা মনে পড়ে।” আমি শুনিয়া হাসিতে লাগিলাম । . আর-একদিনের কুমার-একটা ঘটনা উল্লেখযোগ্য। একদিন আমি কেশব বাবুর সহিত কোন বিশেষ বিষয়ে আলাপ করিবার জন্য তঁহার ঘরে গেলাম। তখন তাহার বিশ্রাম করিবার সময়। কিন্তু দেখিলাম, তিনি ঘরে নাই। তঁহার পত্নীকে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলিলেন,