পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৭০-৭২ ] নগেন্দ্র বাবুর প্রতি প্রচারক মহাশয়দিগের অগ্রীতি ১৯৫ - আমার বেশ স্মরণ আছে যে, আমরা বেলঘরিয়া বা কঁকুড়গাছির উদ্যানভবনস্থ আশ্রম হইতে আসিয়া কলিকাতার বাটীতে র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিলে, তিনি বিদ্রুপ করিয়া বলিতেন, “কি হে, তোমাদের স্বৰ্গরাজ্য কতদূর এল ?” যদিও পরে তিনি আসিয়া আমাদের . সঙ্গে যোগ দিয়াছিলেন। কিন্তু এ কারণে তিনি সে সময়ে কিছুদিনের জন্য প্রচারকগণের নিন্দ ও তিরস্কারের পাত্র হইয়াছিলেন। নগেন্দ্র বাবুর প্রতি প্রচারক মহাশয়দিগের অপ্রীতি :- নগেন্দ্র বায়ুর প্রতি প্রচারকগণের অগ্রীতি জন্মিবার আর এক প্রকার কারণ ছিল। নগেন্দ্র বাবুর তখন একপ্রকার শিরঃপীড়া ছিল, যাহাতে তিনি সময় সময় লোকের সঙ্গ সহ করিতে পারিতেন না ; একাকী একাকী থাকিতে ভালবাসিতেন, অথবা নিজের অন্তরঙ্গ কতিপয় বন্ধুর সঙ্গে থাকিতেন। আশ্রমের উপাসনায় তিনি উপস্থিত থাকিতেন বটে, কিন্তু অপরাপর অনেক সময়ে প্রচারকগণের সহিত বসিতেন না। তাহারা যখন দশজনে কেশব বাবুর নিকট বসিয়া কথাবার্তা কহিতেছেন, তখন হয়ত তিনি তাহার প্রিয়বন্ধু খ্যাতনামা রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের ভবনে শয়ন করিয়া তাহার মুখে জ্ঞানের কথা শুনিতেছেন। নগেন্দ্র বাবুর আর-একটা স্নায়বীয় দুর্বলতা এই ছিল যে, যে-কেহ বিরুদ্ধভাবে র্তাহার সমালোচনা করে, তিনি তাহার দিক দিয়া যাইতেন না। আমি দেখিতে লাগিলাম যে, নগেন্দ্র বাবুর সহিত প্রচারক মহাশয়দিগেব বিচ্ছেদ দিন দিন বাড়িতে লাগিল। আমি অনেক সময় তঁহাকে বলিতাম, যাঁহাদের সঙ্গে কাজ করিতে আসিয়াছেন, তাহাদের সঙ্গ হইতে এরূপ দূরে থাকা উচিত নয়। কিন্তু বলিলে কি হয়, মানুষের প্রকৃতিতে যাহা আছে, তাহা কি হঠাৎ চলিয়া যায় ৫ : তিনি যে একাকী বেড়াইতেন, অনেক সময় গভীর আত্মচিন্তাতে স্বীপন করিতেন। একদিনের কথা মনে আছে। একদিন আমরা