পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৬ শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত ' [ ৭ম পরিঃ जक८न ऊँकूद्धांछिल বাগানে ভারতাশ্রমে সায়ংকালীন উপাসনার পর কেশব বাবুর সহিত নানাপ্রকার কথাবার্ত্তাতে আছি, এমন সময় কেশব বাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, “নিগেন্দ্র কৈ ?” অমনি নগেন্দ্রবাবুর অনুসন্ধান হইল। জানা গেল যে তিনি বৈকাল হইতে নিরুদ্দেশ আছেন। রাত্রি প্রায় ৯টা বাজিয়া গেল, তখন চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের আবির্ভাব হইল। আমি তঁহাকে গোপনে ডাকিয়া বলিলাম, “আপনার খোজ হইয়াছিল, আপনি কোথায় ছিলেন ?” তিনি বলিলেন, “আজ মনটা বড় খারাপ আছে, তাই তিন চারি ঘণ্টা মাণিকতলার খালের ধারে বেড়াইতেছি ও একটা গান বঁাধিয়া গাইতেছিলাম। এই বলিয়া গানটা গাইয়। আমাকে শুনাইলেন । সেটা এই,- “আমি কি বলে প্রার্থনা বল করি আর ? ? আমার সকল কথা ফুৱাইল, ফিরিল না মন আমার ! তুমি দেখ সৱ থেকে অন্তরে, তোমায় কথায় কে ভুলাতে পারে, প্রাণের প্রাণ, বলব কি আর ? কি আর আছে বলিবার ! ওহে, প্রাণ যদি চাহে তোমারে, তুমি থাকিতে কি পাৱ দূরে, আপনি এস পাপীর দ্বারে, তাই পতিত-পাবার নাম তোমার।” আমি শুনিয়া ভাবিলাম, নগেন্দ্র বাবু যে সন্ধ্যার সময় আমাদের সঙ্গে না বসিয়া একলা ছিলেন, সে ভালই হইয়াছে। কিন্তু প্রচারক বন্ধুগণ সকল সময়ে সেরূপ ভাবিতে পারিতেন না। তঁহারা মনে করিতেন, নগেন্দ্র যখন আমাদের সহিত কাজ করিতে আসিয়াছেন, তখন আমরা যেরূপে বসি দাড়াই, তাহাকেও সেইরূপ করিতে হইবে। তাহারা দিন দিন নগেন্দ্র বাবুর উপর চাঁটতে লাগিলেন। ইহা লইয়া তীহাদের সহিত আমার বিবাদ হইতে লাগিল। আমি নগেন্দ্র বাবুর পক্ষ হইয়া তাহাদের সহিত তর্ক বিতর্ক করিতে লাগিলাম। র্তাহারা আমাকে