পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫১

RYby শিবনাথ শাস্ত্রীয় আত্মচারিত [ ৯ম পরিঃ তাহার সেই সরল পবিত্রতামাখা মুখখানি যেন স্থতিতে জাগিতেছে। প্রসন্নময়ীর ন্যায়, তারও সন্তানের ক্ষুধা যেন নিজ সন্তান দিয়া মিটিত না। তিনিও কতকগুলি নিরাশ্রয় বালিকাকে নিজ ভবনে আশ্রয় দিয়া পালন ব্রহ্মময়ী আমার সর্ববিধ সদনুষ্ঠানের উৎসাহদায়িনী ছিলেন । তাহার একটী নিদর্শন মনে আছে। একবার “ভবানীপুর ব্রাহ্মসমাজের” অন্যতম সভ্য শিতিকণ্ঠ মল্লিক ও আমি পরামর্শ করিলাম যে ভবানীপুরে একটি লাইব্রেরী ও পাঠাগার করিলে ভাল হয়। এই পরামর্শ করিয়া আমরা একদিন দুর্গামোহনবাবুর নিকট টাকা ভিক্ষা করিতে গেলাম। দুর্গামোহনবাবু অর্থসাহায্য করিতে অস্বীকৃত হইলেন, তাহা লইয়া তাহার সঙ্গে অনেক বাদ বিতণ্ডা চলিল। আমি বলিলাম, “আপনার নিকট হইতে যদি কিছু ১ টাকা আদায় না ? করি, তবে আমার নাম শিবনাথ, শাস্ত্রী নয়।” তিনি বলিলেন, “আমার নিকট হতে যদি কিছু আদায় করতে পাের, তবে আমার নাম দুৰ্গামোহন দাস নয়।” ইহার পর শিক্তি বাবুর সহিত তাহার তর্ক বাধিল । আমি ইতিমধ্যে সরিয়া পড়িয়া একেবারে উপর তালায় ব্রহ্মময়ার নিকট গেলাম। গ্রস্তাম্বটী বেশ করি? তঁহাকে বুঝাইয়া দিলাম। তিনি শুনিয়া বলিলেন, “জ্ঞানের চর্চা বাড়ে সে ত ভালই। আপনারা কি মেয়েদের পড়বার মত বৈ রাখবেন ? অল্প কিছু জমা দিয়ে, ভদ্রলোকের মেয়েরা কি ভাল ভাল বাঙ্গলা বই নিয়ে আমি বলিলাম, “হ্যা, তা পারবে।” ব্রহ্মমরী-“তবে আমি এককালীন ৫০, ২২ টাকা, ও মাসে মাসে ৪২ SDB BDBB BB S S S SSSuSuSS Su আমি বলিলাম-“তবে এই কাগজে নামটা স্বাক্ষর করে দিন ।”