পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›wፃe,ዓፃ ] পীড়ার সময় পিতা মাতার ব্যবহার ২৩৭ দি ব্রাহ্মসমাজের সভাপতি স্বৰ্গীয় রাজনারায়ণ বসু মহাশয়ও উপস্থিত ছিলেন। তিনি আমাকে বড় স্নেত কৱিতেন। তঁহার সরল আকৃত্রিম । ভক্তি আমাকে মুগ্ধ করিত। তিনি তখন কার্য হইতে অবসৃত হইয়া । বৈদ্যুনাথ দেওঘরে বাস করিতেছিলেন । আমি মধ্যে মধ্যে তঁহার বিমল সহবাসে কিয়াৎকাল যাপন করিবার জন্য সেখানেও যাইতাম । তিনি অতি পরিহাস্যরসিক আমোদপ্রিয় পুরুষ ছিলেন ; আমিও তদ্রুপ, সুতরাং দুজনের একত্র সমাগম হইলে উভয়ের “জিগল্পিষা”-প্রবৃত্তি প্রবল হইয়া উঠিত । হাসিতে হাসিতে লোকের নাড়ীতে ব্যথা হইয়া যাইত । এবারেও হরিনাভিতে তাহা ঘটিল। একদিন রাত্রে সামাজিক উপাসনার গর আহারান্তে আমাদের দুইজনের গল্পের কােটাকাটিতে রাত্রি ২টা বাজিয়া গেল। ব্রাহ্মদের নাড়ীতে ব্যথা হইল । জপ ও রক্ত কঃশা -সেই কারণেই হউক, কি হরিনাভির মা'লেবিয়াবশতই হউক, আমি কলিকাতায় আসিয়াই জ্বরাক্রান্ত হইলাম। স্বরের সঙ্গে রক্রকাশ দেখা দিল। একজন ডাক্তার বলিলেন, হাপকাশের সূত্রপাত । সেইরূপ চিকিৎসা আরম্ভ করিলেন । পীড়ার সময় পিতা মাতার ব্যবহার।-এই পীড়ার সময় আমার পূজনীয় জনক-জননী কি করিয়াছিলেন, এবং আমার বিশ্বাসী অনুগত * তা খোদাই কি করিয়াছিল, তাহা লিপিবদ্ধ করিবার উপযুক্ত। তথ্যপূর্ব্বে আট বৎসরকাল আমার পিতাঠাকুর মহাশয় আমার মুখদর্শন *পেন নাই। তিনি যে প্রথম প্রথম আমাকে গ্রামে প্রবেশ করিতে ঈবেন না বলিয়া গুণ্ডা ভাড়া করিতেন, ও শেষে সে প্রয়াস ত্যাগ করিয়াণ্ড *ী বাড়ীতে কোনও ঘরে আছি। জানিলেই সে ঘরের দিকে যাইতে শী, পথে আমাকে দেখিলে সে পথ পরিত্যাগ করিতেন, এ সকল অগ্রেই লিমাছি। আমি পীড়াতে পড়িয়া যখন বুঝিতে পারিলাম যে পীড়া