পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RAJAy শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত of: কঠিন, আমার জীবনসংশয়, তখন তঁহাকে সংবাদ দেওয়া উচিত মনে করিলাম। রোগশয্যায় পড়িয়া তীহাকে পত্র লিখিলাম। পীড়ার সংবাদ দিয়া লিখিলাম, “যদি উচিত বিবেচনা করেন, আসিয়া দেখা দিয়া আমাকে পদধূলি দিয়া যাইবেন। তাহা না হইলে এই বিদায়, পরলোকে দেখা হইবে।” তৎপূর্বে বাবা আমার চিঠিপত্র খুলিতেন না, ও উপরে আমার হস্তাক্ষর দেখিলে ছিড়িয়া ফেলিতেন। এ পত্র যে কোন পড়িলেন, বলিতে পারি না। অনুমান করি, লোকমুখে অগ্রেই আমার পীড়ার সংবাদ পাইয়াছিলেন । যাহা হউক, একদিন প্রাতে আমার ভবনের দ্বারে একখানি গাড়ি আসিয়া লাগিল। প্রসন্নময়ী জানালা হইতে দেখিয়া দৌড়িয়া আসিয়া আমাকে সংবাদ দিলেন, “বাবা ও মা আসিয়াছেন।” মা উপরে আসিলেন, কিন্তু বাবা আর সে ভুবনে প্রবেশ করিলেন না । মা আমার রোগশয্যার পার্শ্বে আসিয়া কঁাদিয়া বসিয়া পড়িলেন। “বাবা আসিলেন না কেন ?” জিজ্ঞাসা BDBDBBDS DBBBSDD S BDBDBBBDB S SDBDBBDS DDDDD SS S DBDDkBDBBk জানিলাম, বাবা আমার চিঠি পাইয়া মায়ের গহনা বন্ধক দিয়া টাকা লইয়া আমার চিকিৎসার জন্য আসিয়াছেন। বাড়ীড়ে প্রবেশ করবেন না ; আমার জ্ঞাতি-দাদা হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন মহাশয়ের বাসাতে থাকিয়া আমার চিকিৎসা করাইবেন । যথাসময়ে কবিরাজ আসিলেন । বাবা তাহাকে আমার ভবনে প্রবেশ করাইয়া দিয়া নিজে পথপাশ্বে,দোকানে বসিয়া রহিলেন । কবিরাজ আমাকে দেখিয়া গেলে তঁহার মুখে সমুদয় শুনিলেন। তাহার এই ব্যবহারে আমার চক্ষে কত জল পড়িল। তৎপূর্ম্মে এই আট বৎসর সংসারের আপদ বিপদে জ্ঞাতসারে আমার এক পয়সাওঁ সাহায্য লন নাই। পরষ্ঠ যদি কখনও জানিতে পারিয়াছেন যে, মাসে,