পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচ্ছেদ ] भाऊांभशैी > ○ তাহার সহৃদয়তার দৃষ্টান্ত স্বরূপ একটী কথা স্মরণ হইতেছে। একবার আমি পদব্রজে স্বীয় বাসগ্রাম হইতে কলিকাতায় আসিতেছিলাম। পথিমধ্যে মাতুলালয়ে একবেলা থাকিয়া আসিব এইরূপ সংকল্প ছিল ; কিন্তু অগ্রে তথায় সংবাদ দিই নাই। গ্রাম হইতে অতি প্রত্যুষে বাহির হইয়াছিলাম ; মাতুলালয়ে পৌঁছিতে প্রায় দ্বিপ্রহর হইয়া যাইবে। পথিমধ্যে একজন হানজাতীয় লোক আমার সঙ্গ লইল । সে ব্যক্তি সর্ব্বপ্রথম কলিকাতায় আসিতেছে। সে যখন শুনিল যে, আমি সহরে আসিতেছি তখন ব্যগ্রতা সহকারে তাহাকে সঙ্গে লইতে অনুরোধ করিতে লাগিল। আমি জানিতাম বিনা সংবাদে অসময়ে মাতুলালয়ে পৌঁছিব, হয়ত মামীদিগকে আবার পাক করাইতে হইবে, সেই ভয়ে প্রথমে ইতস্ততঃ করিলাম, কিন্তু তাহাব ব্যগ্রতাতিশয় দেখিয়া চক্ষুলজ্জাবশতঃ “না” বলিতে পারিলাম না। দুইজনে দ্বিপ্রহরের সময় মাতুলালয়ে আসিয়া উপস্থিত হইলাম। মামীরা তখন• আহারে বসিয়াছেন, মাতামহী। ঠাকুরাণী বসিতে যাইতেছেন, তখনও ভাতে হাত দেন নাই। আমার همسر } | গলাব স্বর শুনিয়া বাহিরে আসিলেন। আমি তাহাকে চূপে চুপে বলিলাম, একটি অন্তর্জাতীয় লোক পথ হইতে আমার সঙ্গ লইয়াছে। সে কলিকাতায় কখনঃ যায় নাই, আমার সঙ্গে যাইবে। তিনি বলিলেন, “বেশ ত, তুই, শীগগির নেয়ে এসে মামীদের পাতে বুলুস যা, আমার ভাত ঐ লোকটী খুক, আমি আমার ভাত চড়িয়ে দিচ্চি, পরে খাব।” এ প্রকার বন্দোবস্তটা আমার ভাল লাগিল না। একবার বলিলাম, “তোমার ভাত ওকে কেন দেবে, যে ভাত * চড়াবে, তাই ওকে দিয়ে, তোমার ভাত তুমি খাও।” তিনি বলিলেন, “আহা ! বেচারা পথ চলে ক্লান্ত হয়ে এসেছে, ও বসে থাকবে। আর Aামরা খাব, তা কি হয়? যা, যা তুই নেয়ে আয় ।” তীর ত্বরাতে । আমাকে আর ভাবিতে চিন্তিতে “ সময় দিল না, তাড়াতাড়ি স্নান