পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ser শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১২শ পরিঃ ধূলিসাৎ করিয়াছেন, নতুবা আমার দম্ভ-প্রবণ প্রকৃতি অহঙ্কারে পূর্ণ হইয়া থাকিত। তিনি আমাকে কি শিক্ষাই দিয়াছেন । আর একটা কথা । আমি যদি নিজে अलूक ना হইতোম, যদি নিজে ংগ্রামের মধ্যে না পড়িতাম, কোন পথ দিয়া মানুষ অধঃপাতে যায় তাহার আভাস যদি না পাইতাম, তাহা হইলে কি প্রলুব্ধ ও অধঃপতিত নরনারীকে সমবেদনা দিতে পারিতাম ? বুদ্ধিমান গৃহস্থ যেমন লেছেলেকে কোনও বিষয়ের তত্ত্বাবধায়ক করিতে চান, তাহাকে সেই বিষয়ের নিম্নতম ধাপ হইতে পা পা করিয়া তুলিয়া २ाक न्, ॐाध्?? ভ্রম দুঃখ প্রলোভন সংগ্রাম সমুদয় তাহাকে দেখাইয়া থাকেন, তেমনি ক্তিদাতা বিধাতা তাহার যে-দাসকে অপরের সাহায্যের জন্য নিযুক্ত করেন, তাহাকেও ভাল মন্দ দুই দেখাইয়া থাকেন। । বিচিত্র উৎস বিধাতৃত্ব, ধন্য তঁহার করুণা ! সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের নামকরণ ও তাহার ফল -এখন সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের কথা বলি। প্রথম বক্তব্য, সাধারণ বাহ্মসমার্চ নাম কিরূপে হইল ? আমরা যখন স্বতন্ত্র সমাজ স্থাপন করি, তখন আমাদের মনে দুইটা ভােব প্রবল ছিল । প্রথম, ১৩ পুতবৰ্ষীয় বাক্ষসমাজে একনায়কত্ব দেখিয়াছি, কেশব বাবু সর্ব্বেস বা ; এখানে তষ্ঠা হইবে না, এখানে সাধারণতঙ্গ প্রণালী অনুসারে কার্য হইবে । দ্বিতীয়, কেশব বাবু ব্রাহ্মগণের ও ব্রাহ্মসমাজ-সকলের প্রতি উপেক্ষা প্রকাশ করিয়াছেন ; এখানে তাহা হইবে না, এখানে সভাগণের ও সমাজসকলের মত গ্রহণ করিয়া কার্য হইবে। আমাদের মনে এই দুইটি প্রধান ভাব ছিল, সুতরাং আমরা সমাজের নিয়মাবলী প্রণয়নের সশস্ত্র এই দুইটী বিষয়ই সমাজের উদ্দেশ্যের মধ্যে প্রধানরূপে লিখিয়া দিল্পী ছিলাম। ধর্ম্মবিষয়ে কোনও নূতন মত, বা ধর্ম্মজীবনের কোনও নূতন । আদর্শ যে স্থাপন করিতে হইবে, তাহা আমাদের লক্ষ্যস্থলে ছিল না । -11