পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rs. 8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [ ১২শ পরিঃ কিন্তু এই নাম রাখিয়া তিন দিকে তিন প্রকার ফল ফলিল। প্রাচীন ব্রাহ্মদিগের অনেকে এ নাম পছন্দ করিলেন না, তাহদের চক্ষে যেন কেমন হাল্কা হাল্কা বোধ হইতে লাগিল ; ছেলে-ছোকরার ব্যাপার, হট্টগোল, এই ভাব তাহদের মনে আসিতে লাগিল। এই কারণেই বোধ হয়, প্রাচীন ব্রাহ্মদিগের মধ্যে যাহারা আমাদের সঙ্গে যোগ দিবেন। আশা করা গিয়াছিল, তাহদের অনেকে তেমন করিয়া যোগ দিলেন না, দূরে দাড়াইয়া দেখিতে লাগিলেন। দ্বিতীয়তঃ, এই নাম লওয়াতে বাহিরের লোকে মনে করিল, এ সমাজ কাহারও বিশেষ সম্পত্তি নয়, সাধারণের সম্পত্তি ; এখানে যথেচ্ছ ব্যবহার করিবার অধিকার আছে । এই কারণে বাহিরের লোকের মধ্যে কেহ মন্দিরের দ্বারে গোলযোগ করিলে যদি তাহাতে বাধা দেওয়া যাইত, তবে তাতারা বলিঃ উঠিত, “এটা যে সাধারণ সমাজ, এখানে আবার বাধা দেও কেন ?” আমরা শুনিয়া হাসির্তম । তৃতীয় ফলটি সর্ব্বাপেক্ষা গুরুতর। এই নামের প্রভাবে, যাহারা ইহার সভা হইলেন,তাহাদের মনে ; নরস্তুর এই কথা জাগিতে লাগিল যে, ব্যক্তিগত প্রাধান্তে বাধা দেওয়াই এ সমাজের প্রধান কাজ ।। কর্ম্মচারী; দাগের কাজের সহায়তা করা অপেক্ষা গুহাদের কাজে ? দোষ প্রদর্শন করা ও তাঁহাদের ব্যক্তিত্বকে সংঘােত ফ ব্লাহ যেন সভাদর্গের প্রধান কর্ত্তব্য । এই ভাব লািহয়া কার্য্যারম্ভ করাতে প্রথম প্রথম কিছু দিন আমাদের পক্ষে কর্ম্মচারী পাওয়া কঠিন হহয়! গাড়াচিয়াছিল । বাধিক সভাতে কার্য্যবিবরণ উপস্থিত হইলে সভাগণ এ ভাবে বসিতেন না থে, অবৈতনিক কর্ম্মচারীগণ যিনি যতটা কাজ করিয়াছেন, সে জন্য ধন্যবাদ করিয়া ভবিষ্যতে আরও ভাল কাজের ব্যবস্থা করিতে হইবে ; কিন্তু সত্যাগ” এই ভাবে উৎকীর্ণ ও উৎপৃঙ্গ হইয়া বসিতেন যে, কার্য্যবিবরণে কোথায় কি ক্রটি আছে তাহা বাষ্টির করিতে হইবে, এবং কোথায় কি ভ্রম প্রশাপ । ছ। তাহা লইয়া ফাড়াছেড়া করিতে হইবে। বহু বৎসরে এই ভৰি