পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩৩

રરૂર শিবনাথ শাস্ত্রীয় আত্মচরিত [ ১৩শ পরিঃ প্রতিজ্ঞানুসারে মহা অভাবের মধ্যে পড়িয়াও কলিকাতার বন্ধুদিগকে জানাইতেছি না। এইবার কিন্তু সঙ্কট উপস্থিত। সে-ব্যক্তি একে ব্রাহ্ম নহে, তাহাতে আবার আমাদের চাকর ছিল, এবং আমিই তাহাকে হইতে লাগিল। অথচ আর কেহ নিকটে নাই যাহার নিকট সাহায্য ভিক্ষা করি। অবশেষে স্থির করিলাম, লাহােরের রেলভাড়া ঐ ব্যক্তিত্ব নিকট ঋণ করিয়া লইব এবং পরে লাহোর হইতে তাহাকে পাঠাইব । ইতস্ততঃ করিতে করিতে দুইদিন কাটিয়া গেল। এই দুই দিন। কিন্তু বৃথা যাপন করিলাম না । সে ব্যক্তির দ্বারা সেখানকার স্কুলের হেড়ী মাষ্টারের অনুমতি লইয়া স্কুলভবনের উঠানে এক বক্ততা করা গেল ! সে বক্ত। তাতে স্থানীয় বাঙ্গালী ও হিন্দুস্থানী ভদ্রলোক অনেক উপস্থিত ছিলেন। বক্ততার পরদিন লাহাের যাত্রার কথা। সে সংকল্প তাহাকে কিন্তু লজ্জাতে রাত্রে আহারের পূর্বে চাহি চাহি করিয়া মুখ ফুটিয়া চাহিতে আমার জন্য রাধিতে বলিয়া গিয়াছে। আমি স্থান উপাসনা করিয়ী আহারের জন্য প্রস্তুত হইতেছি, এমন সময় সে অ্যাসিয়া উপস্থিত । বলিল, আমি-হিঁ হে, লাহোরের ভাড়া কত ? সে ব্যক্তি-তা আপনাকে ভাবতে হবে না। আপনি পাছে আমার সাহায্য না নেন, তাই আমি একখানা টিকেট কিনে ষ্টেশনে রেখে এসেছি। আমি-সে কি ! তুমি এর মধ্যে টিকেটকিনে রেখে এসেছা! তৎপরে আমি লাহোঁ যাত্রা করিলাম। পথে ভগবানের কৃপাঙ্গে । -1