পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮. ] অশ্বারোহণে দাৰ্জিলিং গমন। মতিহারীতে বিচার ○)○ কোম্পানীর আস্তাবলের এক দীর্ঘকায় সুন্দর শ্বেতবর্ণ ঘোড়া সাজিয়া অপেক্ষা করিতেছে। আমার ঘোড়া দেখিয়া আমি হাসিয়া বলিলাম,”প্রিয়বাবু, এ কি করেছেন ? এ যে বেশ জোরাল ঘোড়া ! আমার জন্য একটা এক-পা-খোড়া ঘোড়া আনিলে ভাল হইত।” তিনি হাসিয়া বলিলেন, “উঠুন, উঠুন, আমি সঙ্গেই আছি।” আমরা ত বাহির হইলাম। আমি আগে, প্রিয়বাবু পশ্চাতে । ঘোড়াদের মধ্যে যে প্রতিদ্বন্দিতা আছে তাহা অগ্রে জানিতাম না। যেই প্রিয়বাবুর ঘোড়ার পায়ের শব্দ শোনা, অমনি আমার ঘোড়া উদ্ধশ্বাসে দৌড়িল । আমি কখনও ঘোড়া চড়ি নাই, সুতরাং এরূপ অবস্থাতে কখনও পড়ি নাই। আমি দুই পা দিয়া ঘোড়ার পেট চাপিয়া ধরিয়া দুই হাত দিয়া তার ঘাড়ের ঝুটি ধরিয়া তাকে জড়াইয়া ধরিয়া রহিলাম। ঘোড়াও বোধ হয়। এরূপ অবস্থাতে কখনও পড়ে নাই। সে বোধ হয় মনে করিল, এ কি জন্তু আমার উপরে উঠিল! কারণ সে আরও উৰ্দ্ধশ্বাসে দোঁড়িতে লাগিল। প্রিয়নাথ বাৰু পশ্চাৎ হইতে চেচাইতে লাগিলেন, “মশাই, থামুন,থামুন ! গেলেন, গেলেন ! এখনি খদের মধ্যে পড়ে পাবেন।” আমি বলিলাম, “আপনি থামুন, আপনি না থামিলে আমার ঘোড়া থামিবে না।” তিনি নিজ অশ্বের বেগ সম্বরণ করিলেন, আমি এদিকে প্রাণপণে লাগাম টানিয়া ধরিলাম। ক্রমে আমার ঘোড়ার বেগ মন্দীিভূত হইল। এই ভাবে গিয়া দাৰ্জিলিঙ্গে উপস্থিত হইলাম, এবং মন্দির প্রতিষ্ঠাকার্য্য সম্পন্ন করিলাম। আসিবার সময় বোধ হয় টোঙ্গাতে केsि१छनाब । মতিহারীতে বেদের অভ্রান্তত বিষয়ে বিচার।-ইহার কিছুকাল পরে অর্থাৎ ১৮৮০ সালের জুলাই মাসে আমি মতিহারী সমাজের উৎসব উপলক্ষে তথায় গমন করি। সেখানে সকল সম্প্রদায়ে মিলিয়া এক মহাবিচার হয়, তাহার কিঞ্চিৎ বিবরণ দিতেছি। ব্যাপারখানা এই। আমি গিয়া এক বন্ধুর বাড়ীতে অবস্থিত হইলাম। দুইদিন পরে সেখানকার