পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ッレ・] সাধারণ লাহ্মসমাজের মন্দির সম্পূর্ণ করা vo তখন কমিটি অনন্তোপায় হইয়া গুরুচরণ মহলানবিশ ও আমার প্রতি মাঘোৎসবের পূর্বে মন্দির নিন্মাণ কার্য্য শেষ কিরিবার ভার দিলেন। আমি এরূপ কার্য্যে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ ; কি করিতে হইবে বুদ্ধিতেই আসে। না ; মহা চিন্তায় পড়িয়া গেলাম। অবশেষে রাত্রে শয়ন করিয়া ভাবিতে ভাবিতে এক পরামর্শ মনে পড়িয়া গেল। আমি যখন ভবানীপুর সাউথ সুবর্ব্বন স্কুলের হেডমাষ্টার ছিলাম, তখন চব্বিশ পরগণার ডিষ্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ার সুপ্রসিদ্ধ রাধিকা প্রসাদ মুখুযো মহাশয়ের সহিত আমার বন্ধুতা হয়। এই বিপদে তার শরণাপন্ন হইব বলিয়া স্থির করিলাম। পরদিন প্রাতে হইলাম। তিনি আমার মুখে সমুদয় বিবরণ শুনিয়া এ কাজের ভার লাইতে স্বীকৃত হইলেন । তৎক্ষণাৎ টমটম যোত হইল, আমরা দুইজনে মন্দিরের অভিমুখে যাত্রা করি লাম । তিনি অদ্ধাদণ্ডের মধ্যে পরীক্ষা করিয়া নেপাল-সমাগত কাঠ বাছিয়া, যেগুলি বৰ্জন করিতে হইবে সেগুলিতে ঋড়ির দাগ দিলেন । কি প্রণালীতে মন্দিরের অবশিষ্ট কার্য্য শেষ করিতে ঠাইবে তাহ আমাদিগকে জানাইলেন, লোহার থাম ও কড়ি কোথায় পাওয়া যাইবে তাহা লিখিয়া দিলেন, এবং তৎপরে নিজেই কতকগুলি গামের মাথায় বসাইবার মত লোভার বাকীসের অর্ডার দিবার জন্য সেই টনটিমে চিৎপুরের লোহার কারখানাতে চলিয়া গেলেন। আমাকে তৎপরদিন প্রাতে তাহার বাড়ীতে যাইবার জন্য অনুরোধ করিয়া গেলেন। তৎপরদিন ভবানীপুরে তাহার ভবনে গিয়া দেখি, একজন কণ্টাকটর বসিয়া আছেন, তাহাকে তিনি ডাকাইয়া আনিয়ছেন। সেই কণ্টাক্টরের সঙ্গে কণ্টাক্ট স্থির হইল। পরদিন লেখাপড়া হইল ; অগ্রিম । টীকা দেওয়া গেল। দুই দিনের মধ্যে মন্দিরের কাজ আরম্ভ হইল। আমার মাথার বোঝা যেন নামিয়া গেল। মহলানবিশ, মহাশয় প্রfিडनिन निन्दी *ার্থের তত্ত্বাবধান করিতে লাগিলেন। আমি সে দায় হইতে নিন্মুক্ত