পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9Rbr শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত > [ ১৫শ পবি: উপস্থিত হইলাম। গিয়া দেখি, তঁাহারা আমাদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বাড়ী রাখিয়াছেন। আহারের সময় এক ব্রাহ্মণ পাচক আমাকে ডাকিয়া লইয়া গেল। খাইতে গিয়া দেখি, কেবল আমার আসন, আমার বন্ধু রঙ্গনাথােমর আসন নাই। জিজ্ঞাসা করাতে পাচক বলিল, “তিনি অন্যত্র খাইতেছেন।” কি করি, একাই থাইলাম। আহারের পর তিনি আসিলে শুনিলাম, তঁহাকে কোথায় একটা অন্ধকার গোয়ালঘরে লইয়া খাওয়াইয়াছে। তিনি শূদ্র, তাই তার এই শান্তি । শুনিয়া আমার বড় দুঃখ হইল। সমাজের সভ্যোরা বৈকালে আসিলে তাহাদিগকে বলিলাম। আমি-তোমরা কর কি ? মান্দ্রাজে আমি ওঁর বাড়ীতে আহার কার, ওঁর স্ত্রী আমাকে রাধিয়া খাওয়ান, উনি সমাজের সেক্রেটারী, আমার বন্ধু; এখানে ওঁকে খাবার সময় অন্যত্র নিয়ে যাও কেন ? তাহারা (হাসিয়া )—এখানে আমরা কীর্ত্তা, আমাদের বন্দোবস্তু; আপনি কিছু বলবেন না। বন্ধু রঙ্গনাথমও বলিলেন, “যেমন চলছে চলতে দিন, গোল बकाद्मदन न কাজেই আমি মৌনাবলম্বন করিলাম, কিন্তু মনটা বড় প্রসন্ন । अश्लि ना । ইহার পর প্রাতে ও সন্ধ্যাতে আমাদের ভবনে সমাজের লোকের ও একটি লোক উপস্থিত থাকে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে বিছানাতে বসে না, মাটিতে বসিয়া থাকে। অনুসন্ধানে জানিলাম, সে একজন সমাজের সভ্য। এরূপে বসিবার কারণ জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম, সে ব্যক্তি pমা’, অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ চারিবর্ণের বহির্ভু