পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•, & ." vity .. r শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত । [ ১৬শ পরিা: কলিকাতা হইতে সমাগত বাবুদের জিনিসপত্র যোগাইতে বারণ এবং দোকানীরা তাহাকেও কিছু দিবে। if( ! শুনিয়া আমার বড় হাসি পাইল। বলিলাম,-“এস, উপাসনা ত করি, তার পর দেখা যাক কি দাঁড়ায়।” এই বলিয়া স্নানান্তে আমরা উপাসনাতে বসিলাম। উপাসনান্তে উঠিয়া দেখি যে, পাশের ঘরেতে কে আমাদের জন্য জলখাবার ও রাধিবার জন্য চাউল, ডাল, তরকারি প্রভৃতি ও ভোজনপত্রের জন্য বড় বড় পদ্মপাত রাখিয়া গিয়াছে। দেখিয়া ত আমাদের বড় আশ্চর্য্য বোধ হইল। উত্তমরূপে জলযোগ করিলাম। আমাদের একজন সেই পাশের ঘরেই উচ্ন কাটিয়া বৃন্ধনে প্রবৃত্ত হইলেন। যথাসময়ে উত্তম আঙ্গার করা গেল। বৈকালে আমরা ধর্ম্মালোচনাতে নিযুক্ত আছি, এমন সময় কে আসিয়া সেই পাশের ঘরে আমাদের বৈকালে থাইবার সমুদয় আয়োজন রাখিয়া গিয়াছে। পুণ্যদাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, কে এইরূপে প্রয়োজনীয় বস্তু যোগাইতেছে। তিনি কিছু সন্ধান বলিতে পারিলেন না। – পরদিনও এইরূপ চলিল। আমরা ব্রহ্মোৎসব করিলাম ; উপাসনা, পাঠ, ধর্ম্মালোচনাদি সকলি চলিল; কিন্তু গ্রামের এক প্রাণী একবার উকি মারিল না। তৃতীয় দিবস প্রাতে আমি বলিলাম, “গ্রামের এক প্রাণী ত এল না, চল আজ নগরকীর্ত্তনে বাহির হই।” আমরা ৭টার সময় নগরাকীর্তিনে ‘‘বাহির হইলাম ; দেখি, মধ্যরাত্রে গ্রাম যেমন করিয়া কীর্ত্তন করত, লোকে ঘরের দ্বার বন্ধ করিয়া আছে তাই থাক, ब्रेक्षद्र দয়ার কথা কানে ঢালিয়া দাও।” খুব উৎসাহে কীর্ত্তন চলিল । --all