পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WW শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৬শ পরিঃ স্থানে স্থানে গর্ত্ত আছে, কাদা দিয়া তাহা বুজাইয়া রাখিয়াছে। আমাদের ভারে কাদাগুলি ঠেলিয়া শালতির মধ্যে জল উঠিতে লাগিল। তখন আমরা নামিয়া পড়িলাম ; এবং একহঁাটু জল ঠেলিয়া পদব্রজেই ষ্টীমাৰুঘাটের অভিমুখে চলিলাম। সে এক কৌতুকের ব্যাপার। গাঙ্গুলি ভায়া আমার আগে আগে বিশ পচিশ হাত দূরে চলিয়াছেন। তাহার উৎসাহ দেখে কে ! আমি আতি চলিঃ। উঠিতে পারিতেছি না, কাজেই একটু পিছাইয়া পড়িয়াছি । এইরূপে দুইজনে চলিয়াছি, হঠাৎ দ্বারি বাবু ডুবিয়া গেলেন । তখন ভারবাহক মুটের মুখে শুনিলাম, সেখানে একটা খাল ও তদুপরি এক পুল ছিল, ব্রহ্মপুত্রের জলবৃদ্ধি হইয়া খাল ভাসিয়া পুল বোধ হয় ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। আমি বাস্তসমস্ত হইয়া অগ্রসর হয় দেখি, দ্বার বাবু কিছু দূরে মাথা জাগাইয়া একবার উঠিয়া আবার “আমিN গেলাম” বলিয়৷ ডুবিলেন। সে বার আমি নিরাহইলাম, ভাবিলাম খালের স্রোতে ঠাঁহাকে ভাসাইয়া লইয়া গেল । সৌভাগ্যক্রমে দেখি কিয়দূরে তিনি আবার মাথা জাগাইয়া হাত দিয়া দেন কি একটা ধরিলেন । পরে জানিলাম, খালের পাশ্বাস্থ কোন • গুল্মের শাখা ধরিয়াছেন। খালের অপর পাশ্বে কিয়দপুরে একখানা পালতি দাড়াইয় ছিল, আমি তখন উচ্চস্বরে তাহাকে ডাকিতে লাগিলাম, “বাবুকে পাট, বাবুকে বাচা, বকসিস করব।” আমার চেচাষ্টেচিতে তারা শালতিখন, লইয়া দ্বারি বাবুকে গিয়া তুলিল। তাহার সামলাই৩ে অনেকক্ষণ গেল। ইজনে চলিতে লাগিলাম । বেলা অবসান হইয়া আসিতে লাগিল ; তৃষ্ণায় দুই জনের ছাতি ফািৰ্টৰ যাইতেছে ; কাদা-জল পান করিতে পারি না। কি করি, কি কাঠ, ভাবিতে ভাবিতে দেখিতে পাইলাম, কিযুদ্ধারে একটা উচ্চ ভূমির উপর একটা বাঙ্গলা ঘর দাঁড়ান্ধীয়া আছে। মনে ভাবিলাম, সেখানে নিশ্চ’ মানুষ আছে, তারা জল দিতে পারবে। উঠিয়া দেখি, সেটা গবর্ণমা’