পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిజఆ শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [ ১৭শ পরিা: দেখে লও, দুজনে সর্ব্বদা দেখা সাক্ষাৎ হবে।” আমি তঁহার কথা অনুসারে উত্তর লণ্ডনে ক্যামডেন ষ্ট্রীটের পাশ্বে, হিল- ড্রপ রোড নামক গলিতে এক পরিবারে থাকিবার স্থান করিয়া লইলাম । বাড়ী দেখিয়া বসিলাম বটে, কিন্তু বহুদিন মনটা দেশের দিকে পড়িয়া রহিল। পথে ঘাটে কেবল সাদা মানুষ ; বাহির হইলেই সকলেই আশ্চর্য্য হইয়া তাকায় ; আমার ভাষা কেহ বোঝে না ; আমি থাকি কি মারি কেহ দেখে না ; এসব যেন আমার কেমন কেমন লাগিতে লাগিল। তাহার উপরে দেশ হইতে যে জ্বর লইয়া গিয়াছিলাম, তাহা ইংলেণ্ডে পৌঁছিয়া কয়েকমাস ছিল। জ্বরে আক্রান্ত হইয়া ঘরে পড়িয়া থাকিস্তাম, একবার উকি মারিবার একজন লোক ছিল না। বাড়ীর মেয়েরা কেহ পুরুষের ঘরে প্রবেশ করিতেন না ; চাকর একবার চা দিয়া যাইত, এই মাত্র । ইহার উপরে আবার প্রাণে শুদ্ধতা অনুভব করিতে লাগিলাম। কোলাহলপূর্ণ রাজনগরে ঈশ্বর যেন আমাকে পরিত্যাগ করিলেন । এই অবস্থাতে কয়েকদিন বড় কষ্টে কাটাইলাম। এই সময়ে বা কিছুদিন পরে বিছানায় পড়িয়া পড়িয়া একটা সংগীত বাধি, তাহা এই :- জানলাম না মা, বুঝলাম না মা, এ তোর রীতি কেমনধারা, থাক থাক লুকাও কোথায়, করে আমায় দিশেহারা ? আমি আঁচল-ধরা ছেলে, যেতে হয় কি একলা ফেলে ? মায়ের মুখ না দেখতে পেলে, ভয়ে ছাওয়াল হয় যে সারা । যদি বল কি গুণ আছে, বাধা রবে আমার কাছে, (তুমি) আপনার গুণে আপনি বাঁধা, ও আমার মা চমৎকার। যে পরিবারে আমি থাকিবার স্থান পাইলাম, তাহারা ইংলেণ্ডের মধ্যশ্রেণীর নিম্নস্তরের লোক। তঁহাদের মেয়েরা সমস্ত দিন পরিশ্রম করিয়া দরজা, জানালা প্রভৃতির পাবদা প্রস্তুত করিতেন, আর ৭৫ বৎসরের বৃদ্ধ গৃহীস্বামী পিতা সেগুলি ভূত্যের মস্তকে দিয়া ভদ্রলোকের বাড়ীতে ও দোকালে