পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত । [ २ °ग्निः কিন্তু বেশ মনে আছে যে প্রায় প্রতিদিন আমার ভাত খাওয়া লইয়া একটা মহাবিভ্রাট উপস্থিত হইত। আমাদের বাড়ীতে শালগ্রাম শিব পঞ্চানন প্রভৃতি অনেক পৈতৃক ঠাকুর ছিলেন। প্রপিতামহ মহাশয়ের কথা বলিবার সময় তাহাদের বিশেষ বিবরণ দেওয়া যাইবে। প্রতিদিন অন্ন ব্যঞ্জন তঁহাদের অগ্রে নিবেদন না করিয়া কাহারও আহার করিবার অধিকার ছিল না। আমারও ধনুর্ভঙ্গ পণ ছিল, ঠাকুরদের নিবেদিত অন্ন আহার করিব না। এজন্য বাকার ও মার হাতে গুরুতর প্রহরী সহ করিতাম, তবুও নিজের জেদ ছাড়িতাম না। অবশেষে নিরুপায় দেখিয়া এই নিয়ম করা হইয়াছিল যে, আমার অন্নগুলি স্বতন্ত্র রাখিয়া, অপর অন্ন ঠাকুরদের নিবেদন করা হইত। কিন্তু আমার পিতামাতার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও নির্ভর থাকিত না। অধিকাংশ সময় ঠাকুরদের নিবেদনের পূর্ব্বে আসিয়া আমি বাহিরের দাবাতে আহার কবিতে বসিতাম। কোনও কোনও দিন বাবা কৌতুক দেখিবার জন্য রান্নাঘরের ভিতর হইতে অন্ন নিবেদন কুরিয়া ঠাকুর লইয়া যাইবার সময় দাবাব এক প্রাস্তে যে আমি আহারে বসিয়াছি, আমার পাতে ঠাকুরদের কুশীর জল छफुछेझ দিতেন। অমািন, ‘ভাত আমি খাব না, বলিয়া আদি স্থাত তুলিয়া পা ছড়াইয়া কাদিতে বসিাতাম ; মা আসিয়া অনেক বুঝাইতেন, কিছুতেই খাওয়াইতে পাবিতেন না। শেষে বড়পিসীদের বাড়ী হইতে আমাকে খাওয়াইয়া আনিতে হইত, কারণ তাঁহাদের বাড়ীতে ঠাকুর-টাকুর ছিল না। ’ “জাতহরণী” - এই ব্যাপার লইয়া আমার মাকে পাড়ার মেয়েদের নিকট বড় লজ্জা পাইতে হইত। তঁাহারা বলিতেন, “তোমার পেটে এ কি কালাপাহাড় এসেছে ?” তখন মা তাহাদিগকে নিজের একটি স্বপ্নের কথা বলিয়া বলিতেন, “আমি জানি, ও ছেলে জাতহরণীতে হয়ে নিয়েছে।” সে স্বপ্নটি এই। আমাদের এতৎ প্রদেশের স্ত্রীলোকদিগের মধ্যে সংস্কার আছে যে, স্মৃতিকাগৃহে ছয়দিনের রাত্রে