পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭২ | যাইব বলিয়া বাহির হইয়াছি, পথে একটা লোক একখানা মুদ্রিত কাগজ লাইয়া আমার নিকট আসিয়া বলিল, “অমুক জাহাজ সমুদ্রে মগ্ন হইয়াছে, ਲਕੇ সংবাদপত্রে ঐ জাহাজ ডোবার বিবরণ পড়েছি।” তখন সে আপনার দারিদ্র্যের বিবরণ দিতে প্রবৃত্ত হইল। বলিল, “আমরা স্ত্রীপুরুষে বড় কষ্টে আছি, আমাদের দিন চলে না। অনেক দিন অনাহারে যায়, আপনি যদি কিছু সাহায্য করেন, বড় ভাল হয়।” তাহার কথা শুনিয়া আমার বড় দুঃখ হইল, কিছু দান করিতে ইচ্ছা হইল, কিন্তু তার মুখে মদের গন্ধ পাইলাম। তখন তাহাকে বলিলাম, “তোমাকে কিছু সাহায্য করিতে ইচ্ছা হইতেছে, করিতেও পারি ; কিন্তু তোমাদের জাত বড় মাতাল, তোমাকে যে পয়সা দিব, তাহ। হয়তো তোমরা স্ত্রীর হঁতে না গিয়া শুড়ির হাতে যাবে। এই জন্য দিতে ইচ্ছা করে না”। সে ব্যক্তি বলিল, “এই রাস্তার অদূরে এক গলিতে আমি থাকি, আপনি আমার বাড়ীতে আমার স্ত্রীর কাছে চলুন, তাকে জিজ্ঞাসা করিলে সব কথা জানিতে পরিবেন।” আমি পূর্ব্বেই সংবাদপত্রে পড়িয়াছিলাম যে লণ্ডনের ঐ উত্তর-পূর্ব ভাগে অনেক দুষ্টলোকের বাস; সােলই চুরি, ডাকাতি, হত্যা, মারামারি প্রভৃতি হইয়া থাকে ; সময় সর্ম্ম পথিকদিগকে ভুলাইয়া গলির ভিতর লইয়া সর্ব্বস্ব কাড়িয়া লয় এবং চোখে কাপড় বাঁধিয়া নানা গলি ঘূরাইয়া আর-এক পথে ছাড়িয়া দেয়। তখন দয়ার আবির্ভাবে সে কথা আমার স্মরণ হইল না। আমি তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলাম। সে আমাকে গলি হইতে গলির ভিতর লইয়া চলিল। অবশেষে আমাকে একটা বাড়ীতে এক ঘরের ভিতর পূরিয়া বলিল, “আমার স্ত্রী স্বরে নাই, এখানে বক্সন, আমি তাকে ডেকে আনছি।” এই বলিয়া বাহির হইয়া গেল। আমার তখনও খেয়াল নাই যে বিপৎসস্কুল স্থানে