পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७१8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ) ရ☎ ၈[ဒြိုး না থাকিলে পুরুষেরা দাঁড়াইয়া স্ত্রীলোকদিগকে বসিবার স্থান করিয়া দিবে। তদনুসারে আমি ও আর একটি পুরুষ উঠিয়া দাড়াইতে যাইতেছি, কিন্তু আমরা উঠিতে না উঠিতে সেই মাতাল পুরুষটি হেলিয়া দুলিয়া উঠিয়া দাড়াইবার চেষ্টা করিতে লাগিল। গাড়ীর লোকেরা বলিল, “তুমি বসিয়া থাক, এরা উঠিতেছেন ।” কিন্তু সে তাহ শুনিল না ; তার মাতালে’ সুরে বলিল, “No ! Ladies !” অর্থাৎ “তা হবে না; ভদ্রমহিলা যে !” আমি দেখিলাম, যে বেহু সি তারও এতটুকু হুস আছে যে নিজে উঠিয়া ভদ্রমহিলার স্থান করিয়া দিতে হইবে। নারীজাতির প্রতি এই সন্ত্রম ইংরাজ জাতির চরিত্রের এক প্রধান লক্ষণ । সেখানে থাকিতে থাকিতে একদিন শুনিলাম যে এক ছুটির দিন Crystal Palace a শতাধিক শ্রমজীবী পুরুষ কি বিবাদ বাধাইয়া মঙ্গ দাঙ্গায় প্রবৃত্ত হইল। কিয়ৎক্ষণ পরে একটি রোগা টিঙটিঙে মেয়ে আসিয়া তাহাদের মধ্যে পড়িয়া সেই দাঙ্গা থামাইয়া দিলেন। তিনি নাকি ঐ শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ঘুরিয়া ঘুরিয়া তাহাদের অবস্থার উন্নতির চেষ্টা সত্যে প্রীতি ও প্রবঞ্চনায় ঘুণ। --অগ্রে সাধারণ প্রজাদের চরিত্রের কথাই বলি। তাঁহাদের মধ্যে এক প্রকার মােটামুটি আছে। তাহারা অসত্যকে ঘৃণা করে, প্রবঞ্চনাতে প্রবৃত্ত হয় না। যে কাজটা করিবে বলিয়া ভার লয়, তাহা সুচারু রূপেই করিবার চেষ্টা করে। অপরের কথা সােজাসুজি বিশ্বাস করে ; সে প্রবঞ্চনার উদ্দেশ্যে বললেও তাহা বুঝিতে পারে না ; পরে প্রবঞ্চনা প্রকাশ পাইলে ভয়ানক রাগে, এবং উত্তমরূপে প্রহার করে । , আমি সেনাপতি গর্ডনের জীবনচরিত পড়িবার সময় একটি ঘটনার একবার একজন প্রবঞ্চক লোক দরিদ্র সাজিয়া এক গল্প সাজাইয়া আসিয়া