পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮৮ ৷ শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৮শ পরিঃ বাটিকা দেখিবার জন্য গেলাম, তখন গিয়া সেখানে দাড়াইয়া বিস্মিত হইয়া ভাবিতে লাগিলাম, কিসের অধিক প্রশংসা করিব, ইংরাজের কার্যের ব্যবস্থা করিবার অদ্ভুত শক্তির, অথবা পরহিতৈষণার। কাজের এরূপ সুব্যবস্থা জীবনে কখনও দেখি নাই, এরূপ পরোপকার-প্রবৃত্তিও দেখি नांदेरे । জর্জ মুলারের অনাথাশ্রম।—এইরূপ আর-একটি আশ্রয়-বাটিকা দেখিয়া বিস্মিত হইয়াছিলাম। সেটী ব্রিষ্টল নগরের সুপ্রসিদ্ধ জর্জ মুলারের প্রতিষ্ঠিত অনাথাশ্রয়-বাটিকা । ইহার ইতিবৃত্ত অতি অদ্ভুত। কিরূপে জর্জ মূলার এক পয়সা ভিক্ষা না করিয়া, চাঁদ না তুলিয়া, কেবলমাত্র ঈশ্বর-চরণে প্রার্থনা করিয়া, স্বতঃপ্রবৃত্ত দানের দ্বারা ৬৩ বৎসর এই-সকল আশ্রয়-বাটিকাতে এককালে সহস্রাধিক পিতৃমাতৃহীন বালক-বালিকাকে রাখিয়া প্রতিপালন করিয়া আসিয়াছেন, তাহার ইতিহাস অতীব বিস্ময়কর, ও ঈশ্বর বিশ্বাসী ব্যক্তিমাত্রে সুই পাঠের যোগ্য । আমি গিয়া দেখিলাম, পাঁচটা আশ্রয়-বাটিকাতে প্রায় দুই সহস্ৰ বালক-বালিকা প্রতিপালিত হইতেছে। তাহাদের জন্য পাঁচটা প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড বাড়ী নির্ম্মিত হইয়াছে, যাহার জানালার সংখ্যাই এগার শত । ঈশ্বর-চরণে প্রার্থনা ও মানুষের স্বতঃপ্রবৃত্ত দানের দ্বারা এই-সকল ভবন নির্ম্মিত হইয়াছে। ভবনে প্রদেশ করিয়া প্রথমে শিশুদের ঘরে গেলাম। গিয়া দেখি, দুইজন স্ত্রী,সক ২০২৫টি শিশুকে লইয়া খেলা দিতেছেন ও রক্ষা করিতেছেন। তৎপরে অপরাপর গৃহও দেখিলাম। কি সুব্যবস্থা, কি রক্ষা ও শিক্ষায় রীতি, দেখিয়া অবাক হইয়া গেলাম। কয়েকজন কোয়েকারের শ্রমজীবী-সেবা ।-কোয়েকীর / সম্প্রদায়-ভুক্ত কয়েক ব্যক্তি নিয়ম করিয়াছিলেন যে, প্রতি রবিবার প্রার্তে একটি ভবনে তঁাহারা শ্রমজীবী দিগকে একত্র করিয়া ধর্ম্মোপদেশ দিবেন। আমাকে একদিন দেখিবার জন্য ডাকিয়াছিলেন। আমি গিয়া তীহাদেশ