পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

39 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ২য় পরিঃ দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “মা রে দয়াময়ি! ভূলতে না পেরে আবার এসেছিস?” প্রপিতামহেব দয়াময়ী ও করুণাময়ী নামা দুইটী কন্যা শৈশবেই গত হইয়াছিল। তিনি বিবেচনা করিলেন, সেই দয়াময়ী পুনরায় আসিয়াছে। তদবধি উন্মাদিনীকে তিনি দয়াময়ী বলিয়া ডাকিতেন । পাড়ার কুসঙ্গ।-উন্মাদিনী বসিতে সমর্থ হইলেই আমার খেলিবার সঙ্গিনী হইল। দুই ভাই বোনে বসিয়া খেলিতাম। মা পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে আমার মেশা পছন্দ করিতেন না । তখন পাড়ার ছেলেরা যে কি খারাপ কথা বলিত ও খারাপ কাজ করিত, তাহা স্মরণ করিলো লজ্জা হয়। গালাগালি বৈ তাহদের মুখে ভাল কথা ছিল না। অধিকাংশ ছেলে রাগিলেই তাদের মাকে “পাট” বলিত। আমাদের প্রতিবেশী এক জ্ঞাতি জেঠার ছেলে-মেয়েরা মাকে এত পাটী পাটী বলিত যে, তাদের একটি বোনের মা মা বলার পরিবর্তে পাটী পাটী বলিয়াই কথা ফুটিল । সে মাকে না দেখিতে পাইলেও, পাটী, ও পাটী” করিয়া কাদিত। সেই কুসঙ্গের মধ্যে আমার মা যে আমাদিগকে কিরূপে বঁাচাইবার চেষ্টা করিতেন, তাহা এখন ভাবিলে আশ্চর্য্যান্বিত হইতে হয়। একবার পাড়ার। is ছেলের মুখে তার মার প্রতি বাপান্ত গালি শুনিয়া আসিয়ু আমি নিজের মাকে সেই গালি দিলাম। আর কোথায় যায় । মূ আমাকে ধরিয়া দুইখানা খোলার কুচি একত্র করিয়া আমার গালের মাংস ছিড়িয়া ফেলিলেন ; রক্তে মুখ ভাসিয়া যাইতে লাগিল। তৎপরে কয়েকদিন আহার বন্ধ । হইল ; মা আমার গলায় গলান ভাত ও দুধ ঢালিয়া দিয়া খাওয়াহঁতে লাগিলেন। সেই দিন অবধি জননার প্রতি গালাগালি আমার মুখে কেহ কখনও শোনে নাই । ५॥ উন্মদিনীর প্রতি স্নেহ ।-উন্মাদিনীকে আমি প্রাণের সহিত ভালবাসিতাম ; সর্বদাই কাধে করিয়া' বেড়াইতাম ; কোথাও কিছু ভাল