পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৮৮ ] নিয়শ্রেণীর মধ্যবিত্ত পরিবারে নারীদিগের পড়ার অভ্যাস ৪০৭ ভোজনের সময় আমার পার্থে ভোজনে বসিতেন। আমি ইংরাজ কবি শেলি ও ওয়ার্ডসওয়ার্থের ভক্ত, ইহা দেখিয়া তিনি আমাকে শেলির অনেক কবিতা মুখে মুখে আবৃত্তি করিয়া শুনাইতেন ; এবং : শেলির প্রতিভার প্রশংসা করিতেন । আমি একদিন এডুইন আর্ণন্ডের লিখিত Indian Idylls (ইণ্ডিয়ান আইডিলস) নামক কবিতা-পুস্তক । কিনিয়া আনিয়া মেয়েটাকে উপহার দিলাম। বলিলাম, “এই কবিতাগুলি তুমি পড়; পরে তোমার মুখে শুনিব, আমাদের দেশের প্রাচীন কবিতা তোমার কেমন লাগিল।” ঐ গ্রন্থে রামায়ণ মহাভারত হইতে সাবিত্রীচরিত প্রভৃতি অনেক উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট বিষয় সন্নিবিষ্ট আছে। মেয়েট পুস্তকখানি পাইয়াই সেই রাত্রে প্রায় ১টা ২টা পর্যন্ত পড়িল। তোমাদের সাবিত্রীর ছবি কি সুন্দর। কি সুন্দর । কতদিন পূর্বে এ ছবি আঁকা হয়েছে?” আমি হাসিয়া বলিলাম, “ধীশু জন্মাবার দুই চারিশত বৎসর পূর্ব্বে কি পরে, ঠিক বলিতে পারি না।” তখন মেয়েট বলিল, “যে জাতি এতদিন পূর্ব্বে এই সৌন্দর্য্য সৃষ্টি করেছে, 6न खांऊि ऊ जांभांछ ऊांडि नम्र !” ইংলণ্ডে বাসকালে আমি ব্রাহ্মসমাজের একখানি ইতিবৃত্ত লিখিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম। আমি যাহা লিখিতাম, তাহা কুমারী কলেটকে পড়িয়া শুনাইতাম। ব্রাহ্মসমাজের ইতিবৃত্ত বিষয়ে তাহার মত অভিজ্ঞ ব্যক্তি অতি অল্পই ছিল। তিনি বাহা সংশোধন করিবার উপযুক্ত মনে । করিতেন, তাহা সংশোধন করিয়া লওয়া হইত। তৎপরে আমার পুস্তক কপি করে কে, এই প্রশ্ন উঠিলে, কুমারী কলেট বলিলেন, "আমি তোমাকে একটী মেয়ে দিচ্ছি, সে তোমার লেখা কপি করে” দেবে, তাকে প্রত্যেক একশত শব্দের জন্য, এক পেনি করে দিও।” এই বলিয়া সেই মেয়েটার ইতিবৃত্ত আমাকে কিছু বললেন। তাহার