পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাতার মৃত্যুর পর তাহার পিতার মতিগতি বদলাইয়া গিয়াছে। পানাসক্তি ও অপরাপর চরিত্রদোষ দেখা । দিয়াছে। । সে বেচারি বাধ্য হইয়া পিতার ভবন পরিত্যাগ করিয়া অন্যত্র বাসা লইয়াছে। নিজে উপাৰ্জন করিয়া খায়, এবং প্রতিদিন দুপুর বেলার কয়েক ঘণ্টা গিয়া পিতার সঙ্গে বাস করে, ঘর পরিষ্কার করে, জিনিষপত্র গুছায়, পিতার সেবা করে এবং তঁহাকে ভাল পথে আনিবার চেষ্টা করে। রাত্রে সে-বাড়ীতে থাকিতে পারে না । এই যুবতীর বিষয়ে একটী ঘটনা স্মরণ আছে, তাহা এই। একদিন সন্ধ্যার সময় মেয়েটা কাপি লইয়া আমার নিকট উপস্থিত হইল। তখন আমি বেড়াইতে বাহির হইবার জন্য উদ্যোগ করিতেছি। কপিগুলি লইয়া মেয়েটকে পয়সা দিয়া বলিলাম, “দাড়াও, আমি বাহিরে যাইতেছি, দুজনে একসঙ্গে বাহির হইব।” দুইজনে বাহির হইলাম। রাস্তাতে আসিয়া বলিলাম, “চল, তােমাদের বাড়ী পর্যন্ত বেড়াইতে বেড়াইতে যাই।” এই বলিয়া তাহার বাড়ীর দিকে চলিলাম। সে প্রায় দেড় মাইল পথ । কিন্তু আমরা পথের কথা ভুলিয়া গেলাম। কথাপ্রসঙ্গে প্রাচীন য়িহুদী জাতির ইতিবৃত্তের বিষয়ে কথা পড়িল। আমি Old Testament ও কিছুকাল পূর্ব্বে প্রকাশিত একখানি প্রাচীন গ্রিন্থদী ইতিবৃত্ত পড়িয়া যাহা জানিয়াছিলাম, তাহা বলিতে লাগিলাম। কথায় কথায় দেখিলাম, মেয়েট সে বিষয়ে এতদূর অভিজ্ঞ এবং এত কথা বুলিতে লাগিলু, যাহা আমি অগ্রে স্বপ্নেও ভাবি নাই। এই আলাপে মল্প হইয়া আমরা তাহার বাড়ীর দ্বারে গিয়া পৌছিলাম। কোথা দিয়া জনে ফিরিয়া আবার আমার বাসার অভিমুখে চলিলাম। অবশেষে আমাদের। বাসার সন্নিকটে, আসিয়া घङ्घ्रि খুলিয়া দেখি, আহারের সময়