পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌbr8Ꮔ-ᏩᏬ ] মাতার কাছে পাঠশিক্ষা ৩১ করিয়াছি। এক এক দিন স্কুলে পৌঁছিলেই পণ্ডিত মহাশয় আমার কাপড়খানি খুলিয়া মাথায় বাধিয়া দিতেন ; এবং পেট টিপিয়া বলিতেন, “আফিংখোর বামণ, তোমার মা তোমাকে কত ভরি। আফিং খাওয়ান ?” ফলতঃ পণ্ডিত মহাশয় আমাকে বড় ভালবাসিতেন ; তাহার কারণ এই, আমি ক্লাসের পড়াতে সর্ব্বদা প্রথম কি দ্বিতীয় স্থানে থাকিতাম। তাহার কারণ ছিলেন। আমার মা । আমি মায়ের কাছে পড়া শিখিয়া যাইতাম। তবে আমার এইটুকু প্রশংসার বিষয় যে পড়াতে আমার মনোযোগ ছিল। মা প্রাতে উঠিয়া গৃহকর্ম্মে ব্যস্ত হইতেন। আমি বইখানা হাতে লইয়া, “মা এটা কি ?” “মা এ কথার অর্থ কি ?” এই বলিতে বলিতে তীব সঙ্গে সঙ্গে ঘুরিতাম। একটি দৃষ্টান্ত দিতেছি। শিশুশিক্ষাতে আছে, “আ” ও “চি” এ “য” ফলা-উদাহরণ “আঢ্য লোক সদা সুখী।” মা ফিরিয়া বললেন, “ওটা আঢ্য”। ইহাতে আমি সন্তুষ্ট হইতাম না। প্রশ্ন, “আঢ্য কাকে বলে মা ?” উত্তর, “আঢ্য বড়মানুষ, যেমন গোপালবাবু” ( গ্রামের একজন জমিদার)। স্কুলে পণ্ডিত মহাশয় যেই “আঢ্য” শব্দ বানান করিতে বলিলেন, আমনি BBBBLL DBDD BD DBBBBBBS DDD D L SDDD DDSYSLDDS BD বলতে বড়মানুষ, যেমন গোপাল বাবু। পণ্ডিত মহাশয় শুনিয়াই হাসিয়া উঠিলেন। বলিলেন, “হাঃ হাঃ-ও তুই কোথায় পেলি রে?” উত্তর, , “কেন, আমার মা বলে দিয়েছে।” “এইরূপে মায়ের গুণে কোনও বালক আমাকে আঁটিয়া উঠিতে পারিত না। ইহার এক ফল এই হইল যে অন্যান্য বালকেরা বাড়ীতে গিয়া নিজ নিজ মায়ের কাছে আবদার আরম্ভ করিল, “শিবের মা কেমন পড়া বলে দেয়। তুই কেন দিস।। না ?” মায়েরা বলিতে লাগিলেন, “আরো মলো, আমি কি লেখা পড়া জানি ? শিবের মা ত ভাল জ্বালা ঘটালে!” এইরূপে আমার মা। একটু লেখাপড়া জানিয়া ঘরে ঘরে গোল বাধাইয়া দিয়াছিলেন।