পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

87 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [ २ २* °द्भिः স্থাপন করিয়াছিলেন। সেখানে নাম্বুরীসম্প্রদায়ভুক্ত ব্রাহ্মণগণের অসীম প্রভুত্ব । আন এক শ্রেণীর লোক আছেন, তাহদের নাম নায়র। নায়ারগণ বোধ হয় আদিতে ক্ষত্রিয় ছিলেন এবং ব্রাহ্মণগণের সহিত এদেশ জয় করিতে আসিয়াছিলেন। নায়রগণের বীরত্বের অনেক কথা শুনিলাম । কালিকট নাম্বুরী ব্রাহ্মণ ও নায়ারদিগের সামাজিক প্রথা।-- সেখানে কতকগুলি প্রথা দেখিলাম, যাহা অতীব বিস্ময়জনক। প্রথম দেখিলাম, ব্রাহ্মণ বা শুরুজনদিগকে দেখিলে নােয়র বা শূদ্র স্ত্রীলোকদিগকে বক্ষঃস্থল অনাবৃত করিতে হয়। শুনিলাম, তাহা ব্রাহ্মণ ও গুরুজনদিগের প্রতি সন্ত্রম প্রকাশের চিহ্ন ! এ সম্বন্ধে একটী গল্প শুনিলাম। একবার টিপু সুলতান, নাকি উপহাসচ্ছলে একজন নােয়র পুরুষকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “নায়ার যুবতীদের বক্ষঃস্থল অনাবৃত কেন ? লোকে তি অপমান করিতে পারে।” তদুত্তরে নায়ার পুরুষ বলিলেন, “নায়রদের স্ত্রীগণের বক্ষঃ অনাবৃত, পুরুষদের তরবারিও অনাবৃত।” নায়ুরদিগের বীরত্ব-খ্যাতি আছে। r - দ্বিতীয় সামাজিক নিয়ম যাহা দেখিলাম, তাহা একটী ঘটনা দ্বারা প্রকাশ করিতেছি । একদিন অপরাহ্রে একজন ব্রাহ্মণ বন্ধুর সহিত বেড়াই বাহির হইয়াছি ; পথিমধ্যে দেখিলাম, একজন নিম্নশ্রেণীর লোক । आ:ि1७ আসিতে দশ বার হাত দূরে দাড়াইয়া গেল এবং কি বলিল। আমার বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলিলেন, “ও আমাকে ব্রাহ্মণ বলিরা জানে, এই জন্য দাড়াইয়া আমাকে সতর্ক করিতেছে, যেন উহার বাতাস বা ছাত্রী মায় গায়ে না লাগে; ইহাই আমাদের সামাজিক প্রথা। নিয়শ্রেণী লোকদিগকে পথে ব্রাহ্মণ দেখিলে ঐ রূপ করিতে হয়।” আমি এ** সামাজিক শাসন জার্য্যাবর্ত্তে কখনও দেখি নাই ; দেখিয়া দক্ষিণাতো তভেদ প্রথা যে কতদূর গিয়াছে তাহা বুঝিতে পারিলাম। :