পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা শুনতে পেলে না ? ওগুলো গভর্ণমেণ্টের জিনিস। তঁরা যেরূপ করতে বলবেন, তাই হবে। তাদের হুকুম ভিন্ন কি বেচ তে পারি?” । সমাগত ব্যক্তি। আমি আপনার কথা শুনতে পেয়েছি। আমি একখানা ঘর তুলছি, খুটির প্রয়োজন। আমি আপনাকে দশ বার টাকা ধরে দিচ্চি, আমাকে খুটিগুলো দিন না? . এতক্ষণে সমাগত ব্যক্তির হৃদগত কথা বাবার হৃদয়ঙ্গম হইল । তিনি অনুভব করিলেন যে ঐ ব্যক্তি র্তাহাকে ঘুষ দিতে চাহিতেছে। * তখন একেবারে লম্বন্ধ দিয়া দাবা হইতে নীচে পড়িয়া তার হাত ধরিলেন, এবং বললেন, “তুমি এমন ছোটলোক যে তুমি আমাকে দশ বার টাকা ঘুষ দিয়ে খুটিগুলো অমনি নিতে চাও ! আর আমাকেও এত ছোটলোক মনে করেছ যে, পরের ধন ঘুষ নিয়ে তোমাকে দেব ! চল, তোমাকে থানায় যে-যােব, তুমি নিশ্চয় ঐ খুঁটির কিছু চুরি করেছ।” এই বলিয়া টানাটানি আরম্ভ করিলেন । আমি মাঝখানে পড়িয়া ছাড়াইয়া দিলাম। আমি বলিলাম, “বাবা, খুটি ত গোণা আছে। কাল স্কুলে গিয়ে খুটি তুলিয়ে গুণে দেখবেন ; যদি কম হয়, তখন না হয় এই ব্যক্তির নামে থানায় খবর দিবেন। এখন একে ছেড়ে দিন।” অনেক বলাতে তাহাকে ছাড়িয়া দিলেন । আর কয়েকটা ঘটনা লিখিয়া রাখিবার ও মনে রাখিবার মত বিষয় । বহু বৎসর পূর্বে বাবা একবার নিজের বেতনের বিল ইনস্পেক্টরের স্বাক্ষর করাইয়ী ভাঙ্গাইবার জন্য কলিকাতায় আসিতেছেন, এমন সময়ে গ্রামস্থ একজন সার্কেল পাঠশালার পণ্ডিত বাবার হাতে একখানি ১৫২ টাকার বিল দিয়া বলিলেন, “পণ্ডিত মশাই, অনুগ্রহ করিয়া আমার এই বিলখানাও ইনস্পেক্টরের স্বাক্ষর করাইয়া ভাঙ্গাইয়া আনিবেন।” বাবা তীর বিলখানাও লইয়া আসিলেন । এদিকে সহরে আসিয়া ইনস্পেক্টর আদিসে ৰাইতে বাবার কিছুদিন