পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ዓ8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ পরিা পড়িয়াছে। প্রায় ২৫ কি ৩০ বৎসর পূর্বে আমাদের গ্রামের ছেলেরা, একটী পাবলিক লাইব্রেরী করে। বাবা একবার সাহাের আসিতেছিলেন, তখন ছেলেরা তঁহার হাতে একটি বইয়ের তালিকা দিয়া ৰলে, “পণ্ডিত মশাই, কোনও জানা-শোনা দোকান হতে এই বইগুলি এনে দিবেন, পরে দাম দেওয়া যাবে।” তিনি তঁার একজন সমাধ্যায়ী বন্ধুর পুস্তকালয় হইতে দশ টাকার পুস্তক লইয়া ঐ গ্রামস্থ যুবকদিগকে দেন। তার পর মাসের পর মাস গেল, বৎসরের পর বৎসর গেল, তাহাদের দাম দেওয়া আর হইয়া উঠিল না। বাবারও আর সে কথা মনে রহিল না। এত দিনের পর সে কথা মনে পড়িয়াছে। আবার আমি, তার সেই সমাধ্যায়ী বন্ধুর পরিবারস্থ কেহ জীবিত আছেন কি না, অনুসন্ধান আরম্ভ করিলাম। সৌভাগ্যক্রমে কলিকাতার বটতলায় তাহার পুত্রকে জীবিত পাইলাম ; তখনও তিনি পুস্তক বিক্রয়ের ব্যবসা করিতেছেন। এ দশ টাকা বাৰা নিজে দেশ হইতে আমার নিকট পাঠাইলেন। আমি বটতলাতে গিয়া সেই ঋণ শোধ করিয়া বাবার কাছে রসিদ পাঠাইলাম, তবে তিনি আবার আর একটা দেনার কথা স্মরণ হইল। বিশ পচিশ বৎসর পূর্বে বাবা ভবানীপুরের এক কাপড়ের দোকান হইতে পাঁচ টাকার কাপ ধারে লইয়াছিলেন। তার পরেই সে দোকান উঠিয়া যায়। সে ঋ । শোধের কি হইবে ? আমরা অনুসন্ধান করিয়া সে দোকানদারের কোনও উদ্দেশ পাইলাম না। কি করা যায় ? বাবার মন সুস্থির হয় না। অবশেষে পাঁচ টাকার কাপড় কিনিয়া তাহার নিকট পাঠান গেল, তিনি গ্রামের দরিদ্রদিগকে দান করিলেন । । আমার পিতার কিরূপ তেজস্বিতা ও মনুষ্যত্ব ছিল, তাহার দুইটী দুষ্টান্ত স্মরণ আছে। এরূপ শুনিয়াছি যে আমার মাতাঠাকুরাণীর বিবাহেঁ? দিনে, আমাদের গ্রাম হইতে সমাগত বরপক্ষীয় লোকদিগের সহিত aff