পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BG) o শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ পরিা প্রার্থনা ও আশীর্ব্বাদে আমি সারিয়া উঠিব। এই স্বাভাবিক ধর্ম্মভাব তাহার প্রকৃতির প্রধান লক্ষণ ছিল। তিনি গয়া কাশী বৃন্দাবন জগন্নাথক্ষেত্র প্রভৃতি সমুদয় প্রধান প্রধান তীর্থস্থান পরিদর্শন করিয়াছিলেন ; তথাপি পুণ্যস্থান দেখিবার আকাঙ্ক্ষা মিটত না। তঁহার ধর্ম্মাকাঙ্ক্ষা যেন অসীম ছিল । আমার শৈশবকাল হইতেই জননী তাঁহার হৃদয়ের সর্বোচ্চ ভাবগুলি বর্ণপরিচয় হইলেই এবং পড়িতে শিখিলেই তিনি এই নিয়ম করিয়াছিলেন যে, যে-দিন আমার পাঠশালা বা স্কুল থাকিত না, সেইদিন দুপুরবেলা তিনি আহারান্তুে বিশ্রামার্থ শয়ন করিলে আমাকে কৃত্তিবাসের রামায়ণ পাঠ করিরা তাঁহাকে শুনাইতে হইত। যে স্থানটা অধিক মিষ্ট লাগিত, দিনের পর দিন বহুবার ভাঙ্গা পাঠ করাষ্টতেন, এবং মাতা পুত্রে সে স্থানটি মুখস্থ আবৃত্তি করিতাম। তদবধি বহু কাল আমি রামায়ণের অনেক স্থল মুখস্থ বলিতে পারিতাম । এষ্ট দীর্ঘকাল পরেও রামায়ণের কোনও কোনও দৃশ্যের ছবি যেন আমার চক্ষের সম্মুখে রহিয়াছে। এইরূপে, ব্রাহ্মধর্ম্মের ভাব পাইবার পূর্ব্বে, রামায়ণের ধর্ম্ম আমার ধর্ম্ম ও রামায়ণ । নীতি আমার নীতি ছিল। তখন রামায়ণের আদর্শ অপেক্ষা উচ্চতর আদর্শ আছে, ইহা কেহ বলিলে আমি সহ্য করিতে পারিতাম না! দ্বিতীয়তঃ, মা যদি কখনও শুনিতে পাইতেন যে, কেহ আমার সহিত এইরূপ তর্ক উপস্থিত, করিয়াছে যাহাতে ঈশ্বরে ও পরকালে অবিশ্বাস প্রকাশ পারি, তখন তিনি বাঘিনীর ন্যায় তাহার মধ্যে পড়িতেন, করিতেন। এমন কি? মামার পিতাও যদি তর্কস্থলে এমন কিছু বলতেন, তাহাও মা সহ্য করিতেন না। বলিতেন, “আমার ছেলের মাথা খোটী