পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ov8ʻh-(tV» ] কুকুর “শেয়াল-থাকী” | ৪১ প্রাণ যাইত। বিড়ালের মধ্যে রূপীর কথা স্মরণ আছে। রূপী একটি মেনি বিড়াল ছিল। এমন সুন্দর বিড়াল কম দেখা যায়। শাদার উপরে পেটের দুই পাশে ও মাথায় কাল দাগ। লোমগুলি পুরু পুরু, চক্ষুদুটি হরিদ্র্যাবর্ণ, ও লেজটি মােটা। এখন মনে করি রূপী বােধ হয় দোআঁশলা বিড়াল ছিল । কে যে তাহাকে দিয়াছিল মনে নাই। উন্মাদিনী ও আমি তাহাকে পুষিয়াছিলাম। তিনি এমনি আদুরে হইয়াছিলেন যে, উনান কঁধায় শোয়া তার পক্ষে সম্রামের হানি বোধ হইত, বিছানার উপর না হইলে তিনি শুইতেন না । উন্মুদিনী ও আমি যখন সন্ধ্যার সময় আসিয়া শয়ন করিতাম, তখন রূপী বাবা ও মারা পাতের মাছের কাটার লোভও ত্যাগ করিয়া আমাদের দুজনের মধ্যে আসিয়া শুইত। অনেক সময় তিনজনে গলা-জড়াজাড় করিয়া ঘুমাইতাম। মা শয়ন করিতে আসিয়া, তাহাকে মশারির বাহিরে ফেলিয়া দিতেন। ভোরে যদি কোন দিন ঘুম ভাঙ্গিত, দেখতাম রূপী গরীব-দুঃখীর মত মশান্ত্রির বাহিরে পড়িয়া আছে। তখন বড় দুঃখ হইত ; তাহাকে আবার মশারির মধ্যে আনিতাম। তৃহ লইয়া মাতাপুত্রে বিবাদ হইত। a কুকুর “শেয়াল-খাকা” (-আমাদের তখনকার আর-একজন খেলার সঙ্গীর কথা স্মরণ আছুে। সে শেয়ালখাকী। শেয়ালখাকী একটা মাদী | কুকুর। তাহার ইতিবৃত্ত এই। আমার বাবা একদিন দেখিলেন একটি কুকুরের বাচ্ছাকে শেয়ালে লইয়া যাইতেছে। দেখিয়া তার দয়ার আবির্ভাব। হইল। তিনি হৈ হৈ করাতে ও ঢ়িল ঢেলা মারাতে শেয়ালটা বাচ্ছাটাকে । ফেলিয়া পলায়ন করিল। বাবা বাচ্ছাটা কুড়াইয়া আনিলেন, সে তখন অতি শিশু । তাহার পৃষ্ঠের শেয়ালের কামড়ের ঘা শুকাইতে অনেকদিন গেল। সে বড় হইল, বাবা তাহার নাম শেয়ালখাকী রাখিলেন। শেয়ালখাকী আমাদের বাড়ীতেই রহিয়া গেল, এবং পাড়ার বালক-বালিকাব খেলিবার একটা মস্ত সঙ্গী হইয়া দাড়াইল। এখন আমার ভাবিয়া আশ্চর্য্য বোধ হয়,