পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞান ও সংস্কৃতানুরাগ 8 গ্রামের পণ্ডিতদিগের মধ্যে অনেকে মধ্যে মধ্যে কঠিন কঠিন প্রশ্ন বিষয়ে শাস্ত্রীয় ব্যবস্থা জানিবার জন্য তঁহার নিকট আসিতেন। তখন চীৎকায় করিয়া প্রশ্নগুলি তাঁহাকে বােঝান ও ব্যবস্থা লওয়া এক মহা ব্যাপার পড়িয়া যাইত বয়সে অতি প্রাচীন হইলেও তিনি সেরূপ স্মৃতিশা। হারান নাই। তিনি শাস্ত্রীয় বচন উদ্ধত করিয়া প্রশ্নের মীমাংসা করিয়া দিতেন । সেই বৃদ্ধ বয়সেও তঁহার জ্ঞানালোচনাতে আনন্দ দেখিতাম । র্তাহাব সংস্কৃতজ্ঞান বিষয়ে দুটি উল্লেখযোগ্য বিষয় আছে। প্রথমটী এই। অনুমান ১৮৫১ কি ১৮৫২ সালে আমাদের গ্রামের স্কুলের মধ্যে একটি সংস্কৃত শিক্ষার শ্রেণী খোলা হয়। আমাদের জ্ঞাতিবর্গের বাড়ীর অনেক ছেলে তাহাতে ভর্ত্তি হয় ; এবং আমার মাতার জাঠতুতো ভাই চাঙ্গড়িপোতা গ্রাম নিবাসী কৈলাসচন্দ্র চক্রবর্ত্তী মহাশয় সেই সংস্কৃত শিক্ষা শ্রেণীর শিক্ষক নিযুক্ত হন। তিনি কর্ম্ম লইয়া আমাদের গ্রামে গিয়া আমাদের বাড়ীতেই বাস করিতে থাকেন ; এবং সংস্কৃত কাব্যাদির বিচার বিষয়ে আমার প্রপিতামহের একজন সহায় ও সঙ্গী হইয়া পড়েন। প্রাতে গ্রামের কোনও কোনও ব্রাহ্মণ যুবক তাহার নিকট পড়িতে আসিতেন । বৰ্তােহাঁদের মুখে প্রপিতামহ মহাশয় সংবাদ পাইতেন, তাহারা । কি পড়েন ; তাহাতে অতিশয় আনন্দ প্রকাশ করিতেন। আমি কলিকাতা স্কুইতে বাড়ী গেলেই দেখিতে পাইতাম, তিনি কৈলাস মামাকে ডাকিয়া । তিন চরণ সংস্কৃত কবিতা পাঠ করিয়া, শেষ চরণ কি, তাহ জা অপর ঘটনাটী হাস্য-জনক। আমি ১৮৫৬ সালে যখন কলিকাতায় 8 ১৮৪৭-৫৬ ] প্রপিতামহের শা